header banner

আফগানিস্তানের ভয়াবহ পরিস্থিতিতে তালিবান-এর দিকে বন্ধুর হাত বাড়ালো চিন

article banner

বর্তমানে বিশ্বের বুকে সর্বাধিক আলোচিত বিষয়হল আফগানিস্তান। মাত্র এক মাসেই কিছু বেশি সময়ের মধ্যেই আফগানিস্তানে বিজয় পতাকা উত্তোলন করেছে তালিবান। প্রেসিডেন্ট আশরফ ঘানি দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন। কাবুল থেকে নাগরিকদের সুরক্ষিত বের করে আনতে তৎপর আমেরিকা। দেশ ছেড়ে পালাতে মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে আফগানবাসীও। একের পর এক বিমানে হচ্ছে উবচে পড়া ভিড়। যেভাবেই হোক দেশ ছেড়ে পালাতে কাতারে কাতারে মানুষ ভিড জমিয়েছেন কাবুল বিমানবন্দরে। যখন গোটা বিশ্ব জেহাদিদের হামলার নিন্দায় মুখর, এহেন সময়েই তালিবান জঙ্গিদের উদ্দেশে বন্ধুত্বের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে চিন।

{link}
সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, আফগানিস্তানের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে চিনের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র হুয়া চুনয়াইং তালিবানের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করারই ইঙ্গিত দিয়েছেন। তিনি বলেন, “আফগানদের নিজেদের ভাগ্যনির্ধারণের অধিকার রয়েছে। সেই অধিকারকে সম্মান করে চিন। আমরা আফগানিস্তানের সঙ্গে বন্ধুত্বঅপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তুলতে আগ্রহী।” বিশ্লেষকদের মতে, তলেতলে তালিবানের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে চিনের। আমেরিকাকে কোণঠাসা করতে পাকিস্তানের সঙ্গে মিলে জঙ্গিগোষ্ঠীকে হাতিয়ার ও অর্থ জোগান দিয়েছে বেজিং। তবে আন্তর্জাতিক কূটনীতির কথা মাথায় রেখেয়ে তালিবানের সঙ্গে শান্তিস্থাপনের নামে প্রকাশ্যে আলোচনা চালিয়ে গিয়েছে কমিউনিস্ট দেশটি।

{link}
এই প্রসঙ্গে উল্লেখযোগ্য বিষয়, গত জুনের ২৮ তারিখ তিয়ানজিনে নয় সদস্যের তালিবান প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠক করেন চিনের বিদেশমন্ত্রী ওয়াং ই। ওই প্রতিনিধি দলে ছিল তালিবানের সহ-প্রতিষ্ঠাতা তথা আফগানিস্তানের বর্তমান প্রেসিডেন্ট মোল্লা আবদুল ঘানি বারাদার। চিন তার ‘বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ’ প্রকল্পে আফগানিস্তানকে শামিল করার চেষ্টা চালাচ্ছে পুরোদমে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই তালিবানের সঙ্গে সম্পর্ক মজবুত করে পূর্ব-এশিয়ায় আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা করছে শি জিনপিংয়ের প্রশাসন।
অর্থাৎ আন্তর্জাতিক রাজনীতির ক্ষেত্রে বর্তমানে চিন চাপে ফেলতে চাইছে আমেরিকাকে। আমেরিকান সেনা আফগানিস্তান ছাড়ার দেড় মাসের মধ্যে বদলে গেছে আফগানিস্তানের সম্পূর্ন চিত্র। বদলেছে সরকারের নাম, হয়েছে ‘ইসলামিক এমিরেট অফ আফগানিস্তান’। ভারতের মতো তালিবানের এই ক্ষমতা দখলকে মান্যতা দিতে নারাজ ব্রিটেন সহ রাশিয়াও। যদিও এই ক্ষেত্রে উল্টো পথে হেঁটে তালিবানি সরকারের পক্ষে যাওয়াকেই ঠিক বলে মনে করছে চিন। 
{ads}

news China Afghanistan India Taliban USA international Politics Terrorism

Last Updated :