কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে কার্যত বড়োসড়ো এক ভোলবদল ঘটেছে কিছু মুহূর্ত আগেই। সেই ভোলবদলের পরেই কার্যত লড়াই শুরু হয়ে গেছে রাজনৈতিক ময়দানে। কংগ্রেস শুধু একটি দল নয়, এটি চিন্তাধারাও। এই মন্তব্য আর কারও নয় সদ্য কংগ্রেসে যোগ দেওয়া তরুণ তুর্কি কানহাইয়া কুমারের। কংগ্রেস ছাড়া দেশ অচল বলেও মনে করেন সিপিআইএম ছেড়ে আসা এই ‘বিহারিবাবু’।
এক সময় রাজনৈতিক মহলে হইচই ফেলে দিয়েছিলেন জেএনইউয়ের তরতাজা তরুণ গবেষক কানহাইয়া কুমার। পরে তিনি যোগ দেন সিপিআইয়ে। বামপন্থী এই ছাত্রনেতার জ্বালাময়ী বক্তৃতা ঝড় তোলে তরুণ মনে। আট থেকে আশি আজও মুখিয়ে থাকেন কানহাইয়া কুমারের ভাষণ শুনতে। এহেন তরুণই ২৮ সেপ্টেম্বর যোগ দেন কংগ্রেসে। ওই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধিও।
{link}
কানহাইয়া বামপন্থা ছেড়ে কেন ডানপন্থা অবলম্বন করলেন তা নিয়ে দেশ জুড়ে শুরু হয়েছে নানা চর্চা। যে চর্চা থামাতে উদ্যোগী হয়েছেন জেএনইউয়ের এই প্রাক্তনী স্বয়ং। তিনি বলেন, আমি কংগ্রেসে যোগ দিচ্ছি, কারণ এটি একটি দল নয়, এটি চিন্তাধারাও। দেশের সব থেকে পুরানো ও সব চেয়ে গণতান্ত্রিক দল হল কংগ্রেস। আমি গণতান্ত্রিক কথাটির ওপর আরও বেশি জোর দিতে চাই। কেবল আমি নই, অনেকেই মনে করেন কংগ্রেস ছাড়া আমাদের দেশের টিকে থাকা কঠিন। তিনি বলেন, কংগ্রেস দলটি হল একটি বড় জাহাজের মতো। যদি এটি সুরক্ষিত থাকে, তবে আমি মনে করি বহু মানুষের আশা-আকাঙ্খা, মহাত্মা গান্ধির চিন্তাধারা, ভগৎ সিংয়ের সাহসিকতা ও বিআর আম্বেদকরের সকলকে সমান অধিকারের ভাবনাও সুরক্ষিত থাকবে। সেই কারণেই আমি কংগ্রেসে যোগ দিয়েছি। কানহাইয়া জানান, এক ধরনের চিন্তাধারা গোটা দেশের মূল্যবোধ, সংস্কৃতি, ইতিহাস ও ভবিষ্যতকে নষ্ট করেছিল। তাই দেশ বাঁচাতে কংগ্রেসকেই প্রয়োজন বলে মনে করেন কানহাইয়া কুমার।
বর্তমানে দেশীয় রাজনীতিতে বিশেষ করে যুব সমাজের মধ্যে বিপুল একটি জনপ্রিয়তা রয়েছে কানহাইয়া কুমারের। সেই জনপ্রিয়তাই এখন রাজনৈতিক মহলে অনেকটা শক্তি বৃদ্ধি করতে সক্ষম হবে কংগ্রেস শিবিরের। সেই অনুযাই আসন্ন চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে কি এই দুই যুব নেতাই জয়ের চাবিকাঠি এনে দেবে কংগ্রেসের হাতে?
{ads}