পাঞ্জাবে রাজনৈতিক মহলের অন্যতম পরিচিত মুখ তিনি। সেই ক্যাপ্টেনই এখন পাঞ্জাব জয়ের ক্ষেত্রে একমাত্র ভরসা বিজেপির। তবে কি ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিংয়ের ‘পরামর্শে’-ই প্রত্যাহার করা হল তিনটি ‘বিতর্কিত’ কৃষি আইন? বিজেপির একটি অসমর্থিত সূত্রেই এ খবর মিলেছে। রীতিমতো অঙ্ক কষে তিনি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহকে বোঝাতে সমর্থ হয়েছেন, ওই তিন আইন প্রত্যাহার না করলে কী বড় বিপদ হতে পারে। সেই কারনেই গতকাল প্রধানমন্ত্রীর এহেন ঘোষনা।
{link}
এক সময় তিনিই ছিলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি। পরে হন মুখ্যমন্ত্রী। প্রদেশ কংগ্রেস নেতৃত্বের সঙ্গে দূরত্বের কারণে মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেন ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং। ঘোষণা করেন নয়া দল গড়ার কথা। কংগ্রেসের টিকিটে জিতে সাতবার বিধায়ক হয়েছিলেন অমরিন্দর। পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী পদে বসেছিলেন দু-দুবার। তিনবার হয়েছিলেন প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি। এহেন অমরিন্দরকে নিয়েই মার্চ মাসে অশান্তি শুরু হয় পঞ্জাব কংগ্রেসে। কারণ বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দেওয়া নেতা নভজ্যোত সিং সিধু। ওই মাসেই পঞ্জাব প্রদেশ কংগ্রেসের শীর্ষে বসানো হয় তাঁকে। এর পরেই শুরু হয় প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির সঙ্গে ক্যাপ্টেনের কোন্দল। যার জেরে মাস কয়েক আগে মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেন অমরিন্দর। সম্পর্ক ছিন্ন করেন কংগ্রেসের সঙ্গেও।
{link}
এর পরেই দিল্লি উড়ে যান ক্যাপ্টেন। দেখা করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, সম্ভবত তিনিই শাহকে বুঝিয়েছিলেন তিন ‘বিতর্কিত’ কৃষি আইন প্রত্যাহার না করলে কী বিপদ হতে পারে বিজেপির! লখিমপুর খেড়ির ঘটনার দিক থেকেও দৃষ্টি ঘোরাতে আইন রদের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলেও অনুমান। কারণ ওই ঘটনায় জড়িয়ে গিয়েছিল এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর ছেলের নাম। সর্বোপরি, পশ্চিম উত্তর প্রদেশে সমাজবাদী পার্টি এবং রাষ্ট্রীয় লোকদলের পক্ষ্ম বিস্তার বিজেপির কাছে অশনি সংকেত ছিল। কারণ সাম্প্রতিক বিভিন্ন নির্বাচনে জাঠেরা বিজেপিকে ভোট দিয়েছিল। মুসলিমদের ভোট গিয়েছে সমাজবাদী পার্টি ও কংগ্রেসের জোটের পক্ষে। জাতভরা হাত উপুড় করে ভোট দিয়েছিল বিএসপিকে। এই ত্রিকোণ লড়াইয়ের ছিদ্র গলে জয়লাভ করে বিজেপি। ক্যাপ্টেনের এই সব হিসেবেই ভয় পান শাহ। তার পরেই তিন আইন প্রত্যাহার করে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি!
{link}
কিন্তু প্রশ্ন হল যে আইন প্রত্যাহার করতে বড়ো দেরি হয়ে গেল না তো? কারন কৃষকেরা বহুদিন ধরে এই আন্দোলন চালিয়ে গেছেন। জড়িয়েছে বহু বিতর্ক, প্রান হারিয়েছেন শতাধিক কৃষক, আন্দোলনরত কৃষকদের মনে আজও সেই ক্ষতের দগদগে ক্ষত হয়ে রয়েছে। সেই ক্ষতে প্রলেপ এতো সহজেই লাগবে কি? কোন দিকে পাল্লা ভারি হবে পাঞ্জাবে? কার উপর আস্থা করবেন মানুষ?
{ads}