যভাবেই হোক বিজেপি বিতাড়ন করতেই হবে, সেই লক্ষ্যেই এগোচ্ছে ঘাসফুল শিবির। তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে জোট পাকা হয়ে গেল গোয়ার দুই রাজনৈতিক দলের! জোড়াফুল শিবিরেরই একটি সূত্রে এ খবর মিলেছে। ২৮ নভেম্বর গোয়া যাচ্ছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। সেদিনই আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা হতে পারে জোটের সিদ্ধান্ত।
আরব সাগরের তীরের ছোট্ট রাজ্য গোয়া দখলে কোমর কষে নেমে পড়েছে তৃণমূল। ৪০ আসন বিশিষ্ট গোয়া বিধানসভার রাশ রয়েছে বিজেপির হাতে। এই রাশই কেড়ে নিতে পণ করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। সেই লক্ষ্যেই ইতিমধ্যেই তৃণমূল দলে টেনেছে গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লুইজিনহো ফেলাইরোকে। কংগ্রেসের টিকিটে তিনি সাতবার বিধায়ক হয়েছেন। কংগ্রেস ছেড়ে তিনি যোগ দিয়েছেন তৃণমূলে। লুইজিনহো তৃণমূলে যোগ দিতেই সে রাজ্যে কার্যত ধস নেমেছে কংগ্রেস শিবিরে। নয়া দলে প্রতিদিনই যোগ দিচ্ছেন কেউ না কেউ। সূত্রের খবর, ২৮ তারিখে তৃণমূল নেত্রী গোয়ায় গেলে বিজেপির এক বিধায়কও যোগ দেবেন তৃণমূলে। কংগ্রেসের একজন এবং এক নির্দল বিধায়কও নাম লেখাবেন জোড়াফুল শিবিরে।
{link}
তৃণমূল সূত্রের খবর, গোয়ার দুই রাজনৈতিক দলের সঙ্গেও পাকা কথা হয়ে গিয়েছে জোড়াফুল শিবিরের। তৃণমূলের সঙ্গে জোট করতে চলেছে গোয়া ফরওয়ার্ড পার্টি ও মহারাষ্ট্রবাদী গোমন্তক পার্টি। ঘটনার কথা স্বীকারও করে নিয়েছেন গোয়া ফরওয়ার্ড পার্টির সভাপতি বিজয় সরদেশাই। সংবাদ মাধ্যমকে তিনি বলেন, গোয়ায় তৃণমূল নতুন দল। বিজেপির বিকল্প হিসেবে তাদের দেখছেন মানুষ। গোয়ানরা চাইছেন আমরা ওদের পরখ করে দেখি।
গোয়া ফরওয়ার্ড পার্টির সঙ্গে নীতিগত সমঝোতা হয়েছিল সোনিয়া গান্ধির দলের। তার পর আর কংগ্রেসের তরফে ইতিবাচক কোনও সাড়া মেলেনি বলে দলের তরফে দাবি করেছিলেন সরদেশাই। তার পরেই তৃণমূলের সঙ্গে গাঁটছড়া বাঁধার উদ্যোগ। এই জোট হলে তা সত্যিই গোয়ায় শাসক দলের জন্য যে চিন্তার বিষয় হবে তা স্পষ্ট। শেষ পর্যন্ত গদি সত্যিই নড়ে যাবে না তো?
{ads}