অবশেষে ঘরের ছেলে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হয়েছেন। কপালের দুঃখ ঘুষে এবার পূরণ হবে স্বপ্ন। এমনই আশায় বুক বাঁধছেন মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষ বলে সূত্রের খবর। শান্তনু ঠাকুর মন্ত্রী হওয়ায় ফের আশা আলো দেখা দিয়েছে তাঁদের মনে।
{link}
এর পূর্বে ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যায় বিধানচন্দ্র রায়ের মন্ত্রিসভায় ঠাঁই হয়েছিল শান্তনুর ঠাকুর্দা প্রমথরঞ্জন ঠাকুরের। হাঁসখালি বিধানসভা থেকে কংগ্রেসের টিকিটে জয়ী হয়েছিলেন তিনি। ছিলেন বিধান রায়ের মন্ত্রিসভায় সমাজকল্যাণ দফতরের প্রতিমন্ত্রী। বিধান রায়ের মৃত্যুর পরে অজয় মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে মত বিরোধের জেরে ১৯৬৪ সালে মন্ত্রিত্ব ছেড়ে দেন প্রমথরঞ্জন। এরপর ২০১১ সালে ফের মন্ত্রিত্ব পায় বনগাঁর ঠাকুরনগরের ঠাকুরবাড়ি। এবার মন্ত্রী হন প্রমথরঞ্জন ও বীণাপাণির ছোট ছেলে মঞ্জুলকৃষ্ণ ঠাকুর। তৃণমূলের টিকিটে দাঁড়িয়ে গাইঘাটার বিধায়ক হন তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্ত্রিসভায় তিনি হন উদ্বাস্তু ও পুনর্বাসন দফতরের মন্ত্রী। কিন্তু মন্ত্রী হয়েও আমজনতা বিশেষত মতুয়াদের জন্য কাজ করতে পারছেন না এই অভিযোগ তুলে ২০১৫ সালে মন্ত্রিত্ব ছেড়ে দেন তিনিও। যার ফলে তখনও আশা পূরন হয় না মতুয়া সম্প্রদায়ের।
এর পর সাত বছর বাদে মন্ত্রী পেল ঠাকুরবাড়ি। এবং সেটাও কেন্দ্রীয় মন্ত্রিত্ব। ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির টিকিটে বনগাঁ লোকসভা কেন্দ্র জয়ী হন শান্তনু ঠাকুর। একুশের বিধানসভা ভোটে জিতে বিধায়ক হন শান্তনুর দাদা সুব্রত। এর পর মতুয়াদের পাশে পেতে জাহাজ দফতরের রাষ্ট্রমন্ত্রীর দায়িত্ব দেওয়া হয় তাঁকে। মতুয়া সম্প্রদায় এবারই প্রথম কেন্দ্রীয় মন্ত্রিত্ব পেলেন। তাই শান্তনু যেদিন শপথ নেন, সেদিন ডঙ্কা বাজিয়ে আনন্দ করেন মতুয়া সম্প্রদায়ের লোকজন। আশায় বুক বাঁধতে শুরু করেন তাঁরা। নাগরিকত্ব সহ ১১ দফা দাবি রয়েছে মতুয়াদের। শান্তনুর হাত ধরে সেই দাবিই পূরণের আশায় দিন গুণছেন দেশের কয়েক লক্ষ মতুয়া।
{link}
বাংলায় মতুয়া সম্প্রদায়ের মানুষজনদের রাশ হাতে রাখতেই শান্তনু ঠাকুরকে কেন্দ্রীয় দপ্তরের মন্ত্রী করা হতে পারে বলে সম্ভাবনার কথা প্রকাশ করেছিল বাংলা দেশের রাজনীতিবিদরা। সেই জল্পনাই সত্যি হয়েছে, মন্ত্রী পদে বসানো হয়েছে ঠাকুরবাড়ির শান্তনু ঠাকুরকে। এখন তিনি মতুয়া সম্প্রদায়ের আশার দাম রাখতে পারবেন কি?
{ads}