এবার বঙ্গের স্ত্রী শক্তির ফর্মুলা লাগিয়ে ভোট বৈতরনী পার করতে চাইছে কংগ্রেস? সামনেই এগিয়ে আসছে উত্তরপ্রদেশের বিধানসভা নির্বাচন। সেই লড়াইয়ে মাতৃশক্তিতে ভর করেই উত্তর প্রদেশে ভোট বৈতরণী পার হতে চাইছেন কংগ্রেস নেতৃত্ব! ঠিক যেভাবে স্ত্রীশক্তির ভোটে বঙ্গবিজয় অনায়াস হয়েছিল তৃণমূলের, ঠিক সেভাবেই উত্তর প্রদেশে বিজেপিকে মাত দিতে মরিয়া সোনিয়া গান্ধির দল। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, সেই কারণেই উত্তর প্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে ৪০ শতাংশ মহিলা প্রার্থী দেওয়ার সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছেন সে রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়ঙ্কা গান্ধি বঢরা।
{link}
বছর ঘুরলেই উত্তর প্রদেশ বিধানসভার নির্বাচন। একই সঙ্গে ভোট হবে আরও চারটি রাজ্যেও। তবে প্রতিটি রাজনৈতিক দলের শ্যেনদৃষ্টি উত্তর প্রদেশের দিকে। কারণ দেশের বৃহত্তম রাজ্য এটি। সেই কারনে কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে এর গুরুত্বও অনেকটা বেশি। এই রাজ্যে যদি বিজেপির গদি নড়িয়ে দেওয়া যায় তবে সেটা একটা বড়ো ধাক্কা হয়ে দাঁড়াবে পদ্মের শিবিরের জন্য। কিন্তু লড়াই খুব কঠিন, কারন এই রাজ্যে বিধানসভার আসনের সংখ্যা ৪০০-ও বেশি।
{link}
তবুও যেই ভাবেই হোক বর্তমানে এই রাজ্যেই এবার ঘুরে দাঁড়াতে মরিয়া কংগ্রেস। নড়বড়ে ভিত শক্ত করতে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে প্রিয়ঙ্কা গান্ধি বঢরাকে। লখিমপুর খেরিকাণ্ডের ঢের আগে থেকেই সক্রিয় হয়েছেন তিনি। প্রায় প্রতিদিনই হাতে নিচ্ছেন নানা কর্মসূচি। প্রত্যাশিতভাবেই চাঙ্গা হয়েছে কংগ্রেসের সংগঠন। এমতাবস্থায় উত্তর প্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে ৪০ শতাংশ আসনে মহিলা প্রার্থী দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন প্রিয়ঙ্কা।
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, প্রিয়ঙ্কার এই চালে কিস্তিমাত হতে পারে। কারণ আন্দোলনের ক্ষেত্রে মহিলাদের এগিয়ে দেওয়ার সুফল আগেও নানা সময়ে পেয়েছেন আন্দোলনকারীরা। তাছাড়া নিজেদের মহিলা দরদি প্রমাণ করতে পারলেও ভোটবাজারে লাভ বিস্তর। এ রাজ্যে যেমনটা করে ফয়দা তুলেছে তৃণমূল। বিধানসভা নির্বাচনের একটা অংশে মহিলা প্রার্থীদের দাঁড় করিয়ে এবং মহিলাদের জন্য নানা প্রকল্প চালু করে বিস্তর ভোট কুড়িয়েছেন তৃণমূল নেত্রী। সেভাবেই এবার উত্তর প্রদেশ দখলের স্বপ্ন দেখছেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। তাই ৪০ শতাংশ আসনে মহিলা প্রার্থী দেওয়ার সিদ্ধান্তের ঘোষণা। এছাড়াও ধর্মীয় পক্ষপাতিত্বতার কারনে এই রাজ্যে ধাক্কা খাওয়ার একটা বড়ো সম্ভাবনা রয়েছে বিজেপিরও। সেই দিক থেকে এই অস্ত্রও কাজে লাগাতে পারে কংগ্রেস শিবির।
{ads}