সামনেই ধীরে ধীরে এগিয়ে আসছে উত্তর প্রদেশের নির্বাচন। যেখানে কার্যত এখন বিপুল দাপাদাপি যোগী আদিত্যনাথের সরকারের। তবে কি নিজের মুখ্যমন্ত্রীর আসন ধরে রাখতে চলেছেন গেরুয়াধারী যোগী আদিত্যনাথ? লড়াই কিন্তু খুব একটা সহজ হবে না।
উত্তর প্রদেশ নির্বাচন সমাজবাদী পার্টির নেতা অখিলেশের ফেভারে যাবে। অন্তত এমনই ভবিষ্যদ্বাণী পণ্ডিত জগন্নাথ গুরুজির। ২০২২ এর বিধানসভা নির্বাচনে বেশ বেগ পাবে যোগী আদিত্যনাথের সরকার। গুরুজির ভবিষ্যদ্বাণীতে অশনি সংকেত দেখছেন বিজেপির ভোট ম্যানেজারেরা।
কর্নাটকে বিএস ইয়েদুরাপ্পা পদত্যাগ করবেন বলেই ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন এই পণ্ডিতই। তার পর থেকে আসমুদ্রহিমাচলবাসী ভরসা করতে শুরু করেছেন এই জ্যোতিষীর ওপর। এর আগেও একাধিক রাজনৈতিক ঘটনা প্রসঙ্গে ভবিষ্যদ্বাণী মিলিয়ে দিয়ে ছাপ বিশ্বাস অর্জন করেছেন জগন্নাথ।
উত্তর প্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে গোটা দেশ। কারণ এত বড় বিধানসভা অন্য কোনও রাজ্যে নেই। এই রাজ্য থেকেই সর্বাধিক সংসদ নির্বাচিত হন। লোকসভা নির্বাচনের বছর দেড়েক আগে এই বিধানসভা নির্বাচনের ফলের দিকে তাকিয়ে রাজনীতির কারবারির পাশাপাশি জ্যোতিষীরাও।
{link}
এঁদেরই একজন গুরুজি। তাঁর বিচারে দেখা যাচ্ছে, আগামী বিধানসভা নির্বাচনে বেশ বেগ পেতে হবে যোগী আদিত্যনাথের সরকারকে। তাঁর সামনে বড় চ্যালেঞ্জ রয়েছে। উত্তর প্রদেশে তাঁর জয় অনায়াস হবে না। গুরুজির দাবি, সমাজবাদী পার্টির জমি শক্ত হতে শুরু করেছে। পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পক্ষেই রায় দিয়েছিলেন অনেক জ্যোতিষী। তাঁদের গণনার ফলও বলছে, উত্তর প্রদেশের হওয়া এবার যোগীর পক্ষে অনুকূল নয়।
গুরুজির এও দাবি, উত্তর প্রদেশে বিজেপি-বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলি আগেরবারের চেয়ে ভালো ফল করবে। কংগ্রেস, সমাজবাদী পার্টি এবং বিএসপি ভোটের অঙ্কে ইতিবাচকভাবে ভালো ফলের দিকে এগিয়ে যাবে। যোগী নয়, উত্তর প্রদেশের হাওয়া এবার সমাজবাদী পার্টির পালে বলেই বিশ্বাস গুরুজির।
উত্তরপ্রদেশে ক্ষমতায় আসার পর একাধিক পদক্ষেপ নেয় যোগী সরকার। লাভ জিহাদ থেকে শুরু করে আরও বেশ কয়েকটি চাঞ্চল্যকর সিদ্ধান্তের কথা প্রকাশ্যে উঠে আসে। তার উপর শেষ প্রকাশ করা উন্নয়নের পোস্টারে মা ফ্লাইওভারের ছবি থাকায় ন্যাশনাল মিডিয়ার কাছে মুখ পুড়েছে এই সরকারের। এই সমস্ত কারনেই কি উত্তরপ্রদেশে রীতিমতো ব্যাকফুটে যোগী সরকার?
{ads}