কিছু দিন আগেই শরদ পাওয়ারের সাথে পর পর সাক্ষাৎ এর কারনে চর্চায় এখন ইলেকশান বিশেষগ্য প্রশান্ত কিশোর ওরফে পিকে। এর মধ্যেই পিকে দেখা করেন কংগ্রেস সভাপতি সনিয়া গান্ধির সাথে। সেখানে ছিলেন রাহুল গান্ধী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী বঢরা এবং কে সি বেণুগোপাল। সেখানে পিকে-কে কংগ্রেসে যোগ দেওয়ার প্রস্তাব দেন রাহুল। বিজেপিকে হঠাতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ পিকে তাতে সম্মতি দিয়েছেন বলে সূত্রের খবর।
কিছুদিন আগে তিনি কংগ্রেসের রাজনৈতিক কাজের পদ্ধ্যতি নিয়ে কটাক্ষ করেন। এর মধ্যেই এই বৈঠক জল্পনা বারিয়ে তুলেছে।তবে তাঁকে ঠিক কোন পদ দেওয়া হবে, তা স্পষ্ট নয়। সেজন্য দলের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে বসলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি।
২২ জুলাই দলের শীর্ষ নেতৃত্বের সঙ্গে ভার্চুয়াল বৈঠক করেন রাহুল। উপস্থিত ছিলেন কমলনাথ, মল্লিকার্জুন খাড়্গে, একে অ্যান্টনি, অজয় মাকেন, আনন্দ শর্মা, হরিশ রাওয়াত, অম্বিকা সোনি এবং কে সি বেণুগোপাল।
তৃণমূলের হয়ে দৌত্য করতে কিছু দিন আগেই দিল্লি গিয়েছিলেন পিকে। সেখানে তিনি দেখা করেন বর্ষীয়ান এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ারের সঙ্গে। তাঁর বাড়িতে উপস্থিত বিভিন্ন আঞ্চলিক দলের ১৫ জন নেতাও ছিলেন। ওই বৈঠকে পিকে-কে পাওয়ার জানিয়ে দেন কংগ্রেস ছাড়া তৃতীয় ফ্রন্ট দানা বাঁধবে না। কারণ কংগ্রেসই একমাত্র দল যে দুর্বল হলেও দেশের প্রতিটি রাজ্যে তার সংগঠন রয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গ এবং তামিলনাডূ ইলেকশানের পর, পিকে স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন যে তিনি তার নির্বাচনের কৌশল অব্যাহত রাখতে চান না এবং কিছুটা বিরতি নিয়ে তাঁর পরিবারের সাথে কিছুটা সময় কাটাতে চান।
প্রশান্ত তাঁর কথায় আটকে যাননি এবং সঙ্গে সঙ্গে বিরোধী নেতাদের সাথে দেখা করতে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। এবং এখন আমরা শুনছি তিনি পূর্ণকালীন রাজনীতি নিতে চান এমনটাই জানিয়েছেন তিনি।
কংগ্রেস সূত্রে খবর, পিকে-ই রাহুলের কাছে কংগ্রেসকে নিয়ে নিজের পরিকল্পনার কথা জানিয়েছেন। তাঁর সেই পরিকল্পনায়ই ছিল তাঁর কংগ্রেসে যোগদানের প্রস্তাব। রাহুল ঘনিষ্ঠদের দাবি, দিন কয়েকের মধ্যেই পিকে-কে নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন রাহুল। তিনি শিলমোহর দিলেই কংগ্রেসের কোনও বড় পদে যোগ দেবেন পিকে। যাঁকে ঘিরে এই মুহুর্তে ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখছেন আম-কংগ্রেসিরা।
তবে পিকে-কে কোন পদ দেওয়া হবে? তা নিয়ে চলছে যাবতীয় আলাপ-আলোচনা।