আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে সরু সুতোয় ঝুলছে বিজেপির ভাগ্য। এমনকি আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে গেরুয়া শিবিরের হাতছাড়া হতে পারে উত্তরাখণ্ড বলেও সম্ভাবনা জানাচ্ছে সমীক্ষা। যদিও সাম্প্রতিক এই সমীক্ষায় জানা গিয়েছে, অল্প কিছু আসন বেশি পেয়ে সরকার গড়বে বিজেপিই। এতোএব ভোটের হাওয়া বোঝা কিন্তু যথেষ্ট কঠিন। এবিপি-সি ভোটারের সমীক্ষা অনুযায়ী, ৭০ আসন বিশিষ্ট বিধানসভায় বিজেপি পেতে পারে ৩৪ থেকে ৩৯টি আসন। কংগ্রেস পেতে পারে ২৯ থেকে ৩৫টি। ম্যাজিক ফিগার ৩৬। কংগ্রেস ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেললেও, সরকার গড়ার সম্ভাবনা বিজেপিরই।
উত্তরাখণ্ডে মূল লড়াই কংগ্রেসের সঙ্গে বিজেপির। লড়াইয়ের ময়দানে আপ থাকলেও, তারা কোনও ফ্যক্টর নয়। তবে সরকারবিরোধী প্রবণতা এখানে ফ্যাক্টর। তীব্র শাসক-বিরোধী হাওয়াও তুঙ্গে। এই হাওয়াই বিজেপির ক্ষমতায় ফেরার পথে বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে। তা সত্ত্বেও বিজেপি এখানে ক্ষমতা দখল করতে পারে বলে সমীক্ষায় প্রকাশ।
সমীক্ষক সংস্থার দাবি, উত্তরাখণ্ডে বিজেপি পেতে পারে ৩৯.৮ শতাংশ ভোট। কংগ্রেসের ঝুলিতে যেতে পারে ৩৫.৭ শতাংশ। আর আপ পেতে পারে ১২.৬ শতাংশ ভোট। এবারই এখানে প্রথম ভোটে লড়ছে আপ। তারা বড়জোর ৩টি আসন পেতে পারে। আর অন্যরা পেতে পারে সাকুল্যে একটি আসন।
{link}
সরকার বিরোধী প্রবণতার হাওয়া জোরালো হওয়ায় ভোট কমবে বিজেপি। ৪৬.৫ শতাংশ থেকে কমে তাদের ভোট দাঁড়াবে ৩৯.৬ শতাংশে। ভোট বাড়বে কংগ্রেসের। ৩৩.৫ শতাংশ থেকে বেড়ে তাদের ভোট হবে ৩৫.৭ শতাংশ। আপ পেতে পারে ১২.৬ শতাংশ ভোট। অন্যদের ভোট ২০ থেকে কমে হবে ১১.৯ শতাংশ।
{link}
বিজেপি ম্যাজিক ফিগার না পেলেও, সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে উত্তরাখণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কংগ্রেস নেতা হরিশ রাওয়াতকে পছন্দ করেন ৩৩ শতাংশ মানুষ। তার পরে রয়েছেন বিজেপি নেতা তথা মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামী। তাই বিজেপির গদি উল্টে যাওয়া বিচিত্র নয়। উল্লেখযোগ্যভাবে শেষ বিধানসভা নির্বাচনে ২০১৭ সালে ৫৭টি আসন পেয়েছিল বিজেপি। সেবারা মাত্র ১১টি আসনের রশি করায়ত্ত হয়েছিল কংগ্রেসের। তারপরেই পালটে যায় উত্তরপ্রদেশের চিত্র। প্রতিষ্ঠা হয় যোগী আদিত্যনাথের সরকারের। কিন্তু গতবারের চেয়ে এবার কংগ্রেস ভালো ফল করবে বলেই সমীক্ষায় প্রকাশ। তবে চমকে দিয়ে তারা জয়ী তকমাও ছিনিয়ে নিতে পারে কি না, তাই দেখার বিষয়। সবটাই নির্ভর করবে উত্তরপ্রদেশের সাধারন মানুষের উপর।
{ads}