সামনে আসছে মসনদ রক্ষার লড়াই, মিশন ২০২৪। সেই লড়াইয়ের কথা মাথায় রেখেই তাই এখন থেকেই সংগঠন ঢেলে সাজাতে শুরু করেছে বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের সূত্রে খবর অনুযাই, সংগঠন ঢেলে সাজানোর পাশাপাশি বাদ পড়া মন্ত্রীদের ক্ষোভের ক্ষতে প্রলেপ দিতেও সংগঠন ঢেলে সাজানোর চিন্তাভাবনা। অর্থাৎ দলের মধ্যে কোনভাবেই আর অর্ন্তদ্বন্দ্ব রাখতে চাইছেন না শীর্ষ নেতৃত্ব। চাইছেন না কোনভাবেই যেন অসন্তোষের ছোঁয়ায় ডুবতে হয় পদ্ম শিবির কে।
উল্লেখ্য বিষয় কিছুদিন আগেই সম্প্রতি রদবদল হয়েছে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায়। সেখানে বাদ গিয়েছেন পূর্বের ১২জন মন্ত্রী। এঁদের পুর্নবাসন দিতে সংগঠনেও রদবদল জরুরি। আরও একটি কারণ রয়েছে সংগঠন ঢেলে সাজানোর। সেটি হল, ২০২৪-এ ক্ষমতা ধরে রাখার আসন্ন লড়াই। এই দুই কারণে সংগঠনে রদবদল আসন্ন বলে বিজেপি সূত্রে খবর। সেইভাবে দেখতে গেলে মন্ত্রিসভা থেকে বাদ পড়েছেন প্রকাশ জাভড়েকর এবং রবিশঙ্কর প্রসাদ। এই দুই বর্ষীয়ান নেতাকে জায়গা দেওয়া জরুরি। বিজেপি সূত্রে খবর, এঁদের অন্যতম সহ সভাপতি কিংবা অন্য কোনও গুরুত্বপূর্ণ পদ দেওয়া হতে পারে। এবং তার পাশাপশি দেবেন্দ্র ফড়নবিশের মতো প্রাক্তন কয়েকজন মুখ্যমন্ত্রীকে সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে আনা হতে পারে।
{link}
আজ, সোমবার দিল্লিতে জেপি নাড্ডা সহ দলের শীর্ষ কয়েকজন নেতার সঙ্গে বৈঠক করেন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। সেখানেই স্থির হয়, খোলনলচে বদলে ফেলা হবে সংগঠনের। গুরু দায়িত্ব বর্তাবে দলীয় সংগঠনের কাজে অভিজ্ঞদের কাঁধে। তাঁদের সাহায্য করবেন অন্যরা। বিজেপির সংসদীয় বোর্ড, কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিটি ও কর্ম সমিতিতে নয়া মুখ দেখা যেতে পারার সম্ভাবনা প্রবল।
কেবল সংগঠন নয়, কয়েকটি রাজ্যেও সংগঠনে রদবদল আসন্ন। বছর ঘুরলেই নির্বাচন উত্তর প্রদেশে। সেইখানে যদিও উত্তরপ্রদেশ এখন যোগীরাজ্য বলেই পরিচিত। সেই মাটিতে পদ্মের দাপটই আলাদা। তবুও আসন্ন নির্বাচনের কথা মাথায় রেখে সেখানেও বদলানো হচ্ছে সংগঠনের খোলনলচে। ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লবকুমার দেবের বিরুদ্ধেও ক্রমেই অসন্তোষ দানা বাঁধছে দলে। প্রত্যাশিতভাবেই সেখানেও ঢেলে সাজানো হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে সংগঠনের।
{link}
একুশে বাংলা জয় করলে চব্বিশের লড়াইয়ে অনেকটাই এগিয়ে থাকত বিজেপি। কিন্তু তাদের সোনার বাংলা গড়ার সেই স্বপ্ন জোর ধাক্কা খেয়েছে তৃণমূলের বিপুল জয়ে। রাজ্যে একুশে প্রায় মুখ থুবড়ে পড়েছে বিজেপি। যার ফলে বর্তমানে কেন্দ্র রক্ষা করার কাজ চব্বিশে বেশ কিছুটা শক্ত হয়ে পড়েছে বিজেপির কাছে। তাই কোনরকম ঝুঁকি না নিয়ে এখন থেকেই কোমর বেঁধে ঘাঁটি ও সৈনবাহিনী শক্তিশালী করার প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছেন বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বেরা।
{ads}