২০২৩ এর ত্রিপুরা নির্বাচনের আগে বিজেপিকে শিকর থেকে উপড়ে ফেলতে চাইছে তৃণমূল। তাই দলের শক্তি বাড়াতে বারম্বার এ রাজ্যের তৃণমূল নেতা মন্ত্রিদের ত্রিপুরা সফর করতে দেখা যাচ্ছে। শোনা যাচ্ছে ত্রিপুরায় আড়ে বহরে বাড়ছে তৃণমূল। কংগ্রেস সহ আরও কয়েকটি দল থেকে নেতা-কর্মীরা নাম লিখেয়েছেন তৃণমূলের খাতায়। এবার সেই তালিকায় যোগ হল মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের কয়েকজন অনুগামীর নাম। ঘাসফুল শিবির সূত্রে খবর, বিজেপির বিপ্লব দেবের বেশ কয়েকজন অনুগামী ইতিমধ্যেই যোগাযোগ করতে শুরু করেছেন তৃণমূলের সঙ্গে।
{link}
তৃতীয়বারের জন্য বাংলার আসন দখল করার পর তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, এবার তাঁদের লক্ষ্য দেশের বিভিন্ন রাজ্য। লক্ষ্য পূরণে উত্তরপ্রদেশ, মহারাষ্ট্র এবং কেরলে পার্টি অফিস খুলেছে তৃণমূল। উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলিতেও থাবা বসিয়েছে তৃণমূল। বাঙালি অধ্যুষিত ত্রিপুরার সার্বিক পরিস্থিতি খুঁটিয়ে দেখতে প্রথমে ইলেকশন স্পেশালিস্ট পিকে-র সংস্থা আইপ্যাক গিয়ে সমীক্ষা চালায়। সেখানে তাদের বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে প্রশাসনের বিরুদ্ধে। পরে ত্রিপুরা যান তৃণমূলের সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
{link}
ত্রিপুরায় তৃণমূল যে দ্রুত সংগঠন বিস্তার করতে গিয়ে সেখানে নিত্য কোথাও না কোথাও আক্রান্ত হচ্ছেন তৃণমূল নেতা-কর্মীরা। আমবাসায় দেবাংশু ভট্টাচার্য, জয়া দত্ত, সুদীপ রাহাদের ওপর হামলা হয় বলে অভিযোগ। এর পর থেকে এ রাজ্যের কোনও না কোনও মন্ত্রী কিংবা তৃণমূল নেতা রয়েছেন সেখানে ঘাঁটি গেড়ে।
{link}
তৃণমূল সূত্রে খবর, এমতাবস্থায় বিজেপি শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের ঘনিষ্ঠ বেশ কয়েকজন বিধায়ক ইতিমধ্যেই যোগাযোগ করতে শুরু করেছেন তৃণমূল নেতৃত্বের সঙ্গে। তবে তাঁরা সংখ্যায় ঠিক কতজন, কিংবা কবে বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেবেন তা স্পষ্ট নয়। যদিও তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি বিপ্লব দেবের ঘরে ধস নামতে চলেছে।
{ads}