ময়দানি লড়াই না হলেও এখন থেকেই আড়ালে আবডালে শুরু হয়ে গেছে সকল চব্বিশের মসনদের লড়াই। দিল্লি দখলের লক্ষ্যে আরও খানিকটা এগোচ্ছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়! সুত্রের খবর অনুযাই চলতি মাসের ২৪ তারিখে দিল্লি যেতে পারেন তিনি। এই দফায় তাঁর সঙ্গী হতে পারেন সদ্য বিজেপি ছেড়ে পুনরায় দলে ফিরে আসা মুকুল রায়। তবে আবার অন্যদিকে মমতার পথে কাঁটা বিছোতে তার ঠিক আগের দিনই দিল্লি যাচ্ছেন বিজেপি বিধায়কদের একটি দল। এতএব দুই পক্ষই নিজেদের জমি এক ইঞ্চিও ছাড়তে ইচ্ছুক নন।
{link}
তৃতীয়বারের জন্য বিপুল জনাদেশ নিয়ে রাজ্যের মসনদে ফিরে দিল্লিকেই পাখির চোখ করেছেন মমতা। ২০২৪ লোকসভা নির্বাচন। ওই নির্বাচনে বিজেপিকে দিল্লিছাড়া করার একটা উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে তৃণমূলের তরফে। সেই উদ্যোগেরই অঙ্গ হিসেবে ইলেকশন স্পেশালিস্ট প্রশান্ত কিশোর ওরফে পিকে তিনবার দেখা করেছেন বর্ষীয়ান এনসিপি নেতা শরদ পাওয়ারের সঙ্গে। এর মধ্যে প্রথম দুবার পাওয়ারের সঙ্গে একাই বৈঠক করেন পিকে। পরেরবার দিল্লিতে পাওয়ারের বাড়িতে হয় বৈঠক। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিভিন্ন আঞ্চলিক দলের ১৫ জন নেতা। পরে পিকে বৈঠক করেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি, প্রিয়ঙ্কা গান্ধি বঢরা এবং বেণুগোপালের সঙ্গে। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, তৃতীয় ফ্রন্ট গড়ার সলতে পাকানো শুরু হয়েছিল পিকে-পাওয়ার বৈঠকের পরেই। সেই প্রক্রিয়াই গতি পেয়েছে বিজেপি-বিরোধী একের পর এক নেতার সঙ্গে পিকের বৈঠকের পর।
{link}
এই প্রক্রিয়াই আরও এগিয়ে নিয়ে যেতে দিল্লির দরবারে হাজির হচ্ছেন তৃণমূল নেত্রী! পর্যবেক্ষকদের মতে, দিল্লিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটা গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে। বিভিন্ন আঞ্চলিক দলের সঙ্গে তাঁর সম্পর্কও বেশ ভালো। তাঁকে প্রধানমন্ত্রী প্রজেক্ট করে লড়তেও রাজি অনেক আঞ্চলিক দল। বস্তুত বিরোধী ঐক্যে শান দিতেই এবার দিল্লি যাত্রা মমতার। তৃণমূল সূত্রে খবর, মমতা দিল্লি যাবেন ২৪ জুলাই। এই যাত্রায় তাঁর সঙ্গী হবেন অভিষেক নন, মুকুল। তার ঠিক আগের দিন দিল্লি যাচ্ছেন বিজেপি বিধায়কদের একটি দল। তৃণমূল নেত্রীর উদ্যোগে জল ঢালতেই কি বিরোধীদের দিল্লি যাত্রা? বলবে সময়।
২১-এ বাংলার মাটিতে বিজেপিকে একেবারে গো হারান হারিয়েছে তৃণমূল। সেই দিক থেকে পরিস্কারভাবেই কেন্দ্রেও বিপুল পরিমান জনপ্রিয়তা এবং গ্রহনযোগ্যতা বেড়েছে ঘাসফুল শিবিরের। গ্রহনযোগ্যতা বেড়েছে মমতা বন্দোপাধ্যায়েরও। আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে তাই বিজেপি বিরোধী জোটের অন্যতম শক্ত খুঁটি হয়ে ওঠার সম্ভাবনা রয়েছে বঙ্গকন্যার। এখন বাংলা গুছিয়ে সেই লক্ষ্যেই এগোতে চাইছে তৃণমূল।
{ads}