দেশের মাটিতে ক্রমেই মাটি আলগা হচ্ছে বিজেপির। পদ্মের সেই ঢেউ যেন আর সেইভাবে দৃষ্টিগোচর হচ্ছে না। অন্তত সদ্য সমাপ্ত ১৩টি রাজ্যের বেশ কয়েকটি জায়গায় বিজেপির ফল অত্যন্ত করুণ। তার পরেই আসন্ন সময়ে এগিয়ে আসছে উত্তর প্রদেশের বিধানসভা নির্বাচন। সেই কারনেই বর্তমানে উত্তর প্রদেশ দখলে রাখতে মরিয়া গেরুয়া নেতৃত্ব। এজন্য তেলের দাম কমানো, নিখরচায় রেশন বিলির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে ধারণা রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের।
{link}
১৩ রাজ্যের বেশ কয়েকটি আসনে হয়েছে উপনির্বাচন। ভোটের ফল বের হলে দেখা যায়, বিজেপির শক্ত ঘাঁটিতেও এবার থাবা বসিয়েছে কংগ্রেস। রাজ্যের যে চার আসনে উপনির্বাচন হল, একুশের বিধানসভা নির্বাচনে তার দুটির রাশ গিয়েছিল বিজেপির হাতে। উপনির্বাচনে সে দুটিও হাত ছাড়া হয়েছে গেরুয়া নেতৃত্বের। শুধু তাই নয়, রাজ্যের চার উপনির্বাচনের কেন্দ্রের তিনটিতে জমানত বাজেয়াপ্ত হয়েছে পদ্ম প্রার্থীদের।
কেবল বাংলা নয়, কর্নাটক এবং হিমাচল প্রদেশের একাধিক কেন্দ্রেও আসন খোয়া গিয়েছে বিজেপির। প্রত্যাশিতভাবেই এবার উত্তর প্রদেশের রাশ ফের নিজেদের হাতে নিতে মরিয়া বিজেপি। উত্তর প্রদেশ বিধানসভার আসন সংখ্যা ৪০৪। স্বাভাবিকভাবে লোকসভার আসন সংখ্যাও দেশের সব চেয়ে বেশি। ২৪ সালে লোকসভা নির্বাচন। তাই আরও বেশি করে প্রয়োজন উত্তর প্রদেশের রাশ। এই উত্তর প্রদেশেই রয়েছে বারাণসী লোকসভা কেন্দ্রে। যে কেন্দ্রের সাংসদ খোদ প্রধানমন্ত্রী। সেই কারণেও উত্তর প্রদেশ বিধানসভায় বিজেপির জেতাটা খুবই জরুরি।
{link}
রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, সেই কারণে কেন্দ্র কিংবা যোগী আদিত্যনাথের রাজ্য নিচ্ছে একের পর এক জনদরদি সিদ্ধান্ত। এর মধ্যে জ্বালানির দাম কমানো যেমন রয়েছে, তেমনি হোলি পর্যন্ত নিখরচায় রেশন বিলির সিদ্ধান্তও রয়েছে। তবুও যোগীর সরকারের বেশ কয়েকটি সিদ্ধান্তের বিরূপ প্রভাব পড়েছে সাধারন মানুষের উপর। যে কারনে ছবিটা সম্পূর্ন স্পষ্ট নয়। সেই হেতুই প্রশ্ন উঠছে এত করেও রামরাজ্যে ফের পদ্ম ফুটবে তো?
{ads}