নিজস্ব প্রতিনিধি: কংগ্রেসের বাড়া ভাতে ছাই দিতে গিয়ে মুখ পোড়াল তৃণমূল! অন্ততঃ রাজনৈতিক মহলের ধারণা এমনই। সদ্য সমাপ্ত পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে এক মাত্র গোয়ায় হাতে গোণা অল্প কয়েকটি আসন পেয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। উত্তর প্রদেশে অখিলেশ যাদবের সমাজবাদী পার্টির হয়ে প্রচারে গেলেও, মুখ থুবড়ে পড়েছে মুলায়ম পুত্রের দল। উত্তর প্রদেশের রং এবারও গেরুয়া। বাইশেও সেখানে পদ্ম-রাজ!
{link}
এই পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের মধ্যে এক মাত্র গোয়া দখলেই ঝাঁপিয়েছিল তৃণমূল। তার আগে ত্রিপুরা পুরভোটেও প্রার্থী দিয়েছিল তারা। ত্রিপুরা দখলে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও প্রাণপাত করেছিলেন। সেখানেও কংগ্রেসের শিবিরে থাবা বসিয়েছিল তৃণমূল।বিজেপি শাসিত রাজ্যে কংগ্রেস ভাঙিয়েও বিশেষ সুবিধা করতে পারেনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। আগরতলা পুরভোটে জোড়াফুল চিহ্নে জয়ী হয়েছিলেন একজন। ভোটের ফল প্রকাশের পরে পরেই তিনিও ঘরওয়াপসি করেছেন।
{link}
এর পরেই গোয়া দখলে ঝাঁপায় তৃণমূল। গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা সাতবারের বিধায়ক কংগ্রেসের লুইজিনহো ফেলেইরো কলকাতা উড়ে এসে যোগ দেন তৃণমূলে। এর পর গোয়ায় আসল কংগ্রেস হতে গিয়ে কংগ্রেস শিবিরে কার্যত ধস নামিয়ে দেয় তৃণমূল। দু দুবার গোয়া উড়ে যান তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং। আরব সাগরের তীরের ছোট্ট এই রাজ্যের মাটি কামড়ে পড়ে থাকেন ডেরেক ও ব্রায়েন এবং কংগ্রেস থেকে তৃ্ণমূলে আসা সুস্মিতা দেব। বাবুল সুপ্রিয় ছাড়াও একাধিক নেতাকে পাঠানো হয় গোয়া দখলে। তার পরেও গোয়া দখলের স্বপ্ন পূরণ হয়নি তৃণমূল নেত্রীর। উল্টে কংগ্রেসের বাড়া ভাতে ছাই দিয়ে তৃণমূল আদতে বিজেপির জয়ের পথই প্রশস্ত করে দিয়েছেন বলে ধারণা রাজনৈতিক মহলের।
{ads}