লক্ষ্য দিল্লি জয়, সেই লক্ষ্যেই এখন এগোচ্ছে তৃণমূল কংগ্রেস, কংগ্রেস ও ভারতবর্ষের বিখ্যাত ইলেকশান স্পেশালিষ্ট প্রশান্ত কিশোর। ঘন ঘন যাচ্ছে দিল্লি, কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বদের সাথে করছেন বৈঠক। কিন্তু সেই প্রশান্ত কিশোরের বিরুদ্ধেই উঠল কংগ্রেস ভাঙার অভিযোগ। কংগ্রেস ভাঙছে ইলেকশন স্পেশালিস্ট প্রশান্ত কিশোর ওরফে পিকের সংস্থা আইপ্যাক। অন্তত এমনই অভিযোগ গোয়া কংগ্রেসের। তাঁদের দাবি, ছলে বলে কৌশলে কংগ্রেস নিধনই এখন একমাত্র লক্ষ্য হয়ে উঠেছে আইপ্যাকের। তৃণমূলকে কেন্দ্রে প্রতিষ্ঠা করতেই এই ছক কষেছে আইপ্যাক।
{link}
মাসখানেক আগেই গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কংগ্রেস বিধায়ক লুইজিনহো ফালেইরো যোগ দেন তৃণমূলে। তখনই তিনি বলেছিলেন, কংগ্রেস পরিবারকে একত্রিত করতে এবং পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সব চেয়ে বড় প্রতিদ্বন্দ্বী করে তুলতে তিনি যোগ দিচ্ছেন তৃণমূলে। তার পর থেকে ভাঙন লেগেই রয়েছে গোয়া কংগ্রেসে।
{link}
মঙ্গলবার ভালভোই ব্লক কংগ্রেস কমিটির প্রায় দুশো কর্মীকে নিয়ে ব্লক সভাপতি দশরথ মান্দ্রেকর এবং আরও আটজন পদাধিকারী যোগ দেন তৃণমূলে। এঁদের মধ্যে ছিলেন রাজ্য মহিলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়া রাঠোরও। এর পরেই রীতিমতো বিবৃতি দিয়ে আইপ্যাক জানায়, যেহেতু ২০০ জনেরও বেশি কংগ্রেস কর্মী এবং বেশ কয়েকজন পদাধিকারী গোয়া তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন এবং তাঁদের সমর্থনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, এটি নিশ্চিত হয়েছে যে গোয়া প্রদেশ কংগ্রেস কমিটি সম্পূর্ণ ভেঙে পড়েছে। আইপ্যাকের তরফে আরও জানানো হয়, গোয়া কংগ্রেসের সভাপতি গিরিশ চোদনকর ও এআইসিসি-র সিনিয়র নির্বাচন পর্যবেক্ষক পি চিদম্বরমের অধীনে গোয়ায় কংগ্রেস সম্পূর্ণভাবে ভেঙে পড়েছে। ফলে এখন নতুন ভোরের দিকে দ্রুত এগিয়ে চলেছে গোয়া। আগামী নির্বাচনে গোয়ায় শাসকদল বিজেপির প্রধান চ্যালেঞ্জার হয়ে উঠবে তৃণমূলই।
{ads}
অর্থাৎ কোথাও গিয়ে কিন্তু বাস্তবিক ভাবেই বিভিন্ন রাজ্যে কিংবা উদাহরন স্বরূপ বলা চলে গোয়া তে আইপ্যাকই হয়ে উঠেছে কংগ্রেসের পতনের কারন। সেক্ষেত্রে নিজেদের ঘাঁটি ভেঙে পড়ুক তা কখোনই চাইবেন না তারা। বিরোধীদের মধ্যেই কি তবে এখনও মিত্রতার অভাব? কি হবে তাহলে আসন্ন ২৪-এর ভোট যুদ্ধে? আদৌ বিরোধী জোট গঠন সফল হবে তো? জটিলতা যে বাড়ছে তা কিন্তু স্পষ্ট।
{ads}