রাজ্য জয়ের পর এবার লক্ষ্য কেন্দ্রে দলের শক্তি বৃদ্ধি ঘটিয়ে কেন্দ্রীয় রাজনীতিতে দলকে প্রতিষ্ঠা করা। সেই লক্ষ্যেই কয়েকদিন আগেই মুম্বই ঘুরে এসেছেন মুখ্যমন্ত্রী। আসন্ন সময়ে ফের গোয়ায় যেতে চলেছেন বলে দলীয় সূত্রের খবর। গোয়ায় নতুন ভোর আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাই এখন গোয়া দখলে মরিয়া তৃণমূল। গোয়ার রশি করায়ত্ত করতে ফের ১৩ই ডিসেম্বর গোয়া যাবেন মমতা। এর আগের বার তিনি গিয়েছিলেন একাই। এবার তাঁর সঙ্গ নেবেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
{link}
নতুন বছরের ফেব্রুয়ারিতেই গোয়া বিধানসভা নির্বাচন। তাই গোয়া দখলে প্রাণপাত করছেন তৃণমূল নেতারা। অক্টোবর মাসেই একবার গোয়া সফরে গিয়েছিলেন তৃণমূল নেত্রী। তবে গোয়া যাওয়ার আগেই অবশ্য তৃণমূল নেত্রী দলে টেনে নিয়েছিলেন কংগ্রেসের হেভিওয়েট নেতা লুইজিনহো ফেলেইরোকে। কলকাতায় এসে তৃণমূলের ঝান্ডা হাতে তুলে নিয়েছিলেন তিনি। লুইজিনহো সাতবারের বিধায়ক। তিনবার মুখ্যমন্ত্রীও হয়েছিলেন। তাঁকে টেনে নিয়ে কংগ্রেসকে গোয়ায় ধরাশায়ী করেছে তৃণমূল। সূত্রের খবর, রাজ্যসভায় পাঠানো হচ্ছে লুইজিনহোকে। মমতার সেবারের গোয়া সফরে সোনা ফলেছিল। দলে যোগ দিয়েছিলেন টেনিস খেলোয়াড় লিয়েন্ডার পেজ, পরিবেশপ্রেমী মৃণালিনী দেবী প্রভু, অভিনেত্রী নাসিফা আলি প্রমুখ। তাঁর এবারের সফরে আরও বেশ কয়েকজন হেভিওয়েট জোড়াফুল শিবিরে ভিড়তে পারেন বলে তৃণমূলেরই একটি সূত্রের খবর।
{link}
গোয়া বিধানসভার আসন সংখ্যা ৪০। সব ক’টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে তৃণমূল। উত্তর-পূর্বের ছোট্ট রাজ্য ত্রিপুরা, মেঘালয় এবং আরব সাগরের তীরের ছোট্ট রাজ্য গোয়াই তাদের প্রথম টার্গেট। এই গোয়ায়ই সংগঠন বিস্তারে প্রাণপাত করছেন তৃণমূল নেতা-কর্মীরা। গোয়ার রাশ করায়ত্ত করতে কোমর কষে নামছেন স্বয়ং দলনেত্রীও। ত্রিপুরায় পুরসভা ভোটে খুব একটা দাপট দেখাতে সক্ষম হয়নি তৃণমূল। সেই কারনেই রাজনৈতিকবিদদের একটা বড়ো অংশের মতামত গোয়াকেই এখন পাখির চোখ করছে তৃণমূল। এখন দেখার, আরব সাগরের তীরে লোনা হাওয়ায় জোড়াফুল ফোটে কিনা।
{ads}