রাজ্যে জয় সম্পূর্ন। এবার লক্ষ্য কেন্দ্রে দলকে প্রতিষ্ঠা করা। সেই লক্ষ্যেই আগামী এক বছরের মধ্যে দেশের ১৫টি রাজ্যে ইউনিট গড়বে তৃণমূল! এই লক্ষ্যমাত্রা ধরেই এগোচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জোড়াফুল শিবির। খড়দহের এক জনসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে একথাই জানিয়ে দিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আসন্ন সময়ে নরেন্দ্র মোদি, অমিত শাহের গুজরাটেও তারা হানা দেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে তৃণমূলের বলে জানান অভিষেক।
{link}
তৃতীয়বারের জন্য বাংলার কুর্সিতে বসে গোটা দেশে সংগঠন বিস্তারের সিদ্ধান্ত নেয় তৃণমূল কংগ্রেস। উত্তর পূর্বের ছোটো ছোটো রাজ্যগুলির পাশাপাশি আরব সাগরের তীরের এই ছোটো রাজ্যটির প্রতিও শ্যেনদৃষ্টি হানে তৃণমূল। তার ফলও ফলেছে। উত্তর পূর্বের ত্রিপুরার পাশাপাশি ইতিমধ্যেই গোয়ায়ও মজবুত সংগঠন গড়ে তুলে ফেলেছে তৃণমূল।
ত্রিপুরা রাজ্যটি বাঙালি অধ্যুষিত। তাই তার রাশ যাতে ফের গেরুয়া নেতৃত্বের হাতে না যায়, সেজন্য এখন থেকেই কোমর কষে নামছেন তৃণমূল নেতৃত্ব। ত্রিপুরা বিধানসভার ভোট হবে ২৩ সালে। এর এক বছর পরেই লোকসভা নির্বাচন। তাই ইতিমধ্যেই সেখানে কোমর কষে নেমে পড়েছে তৃণমূল। বিজেপি শাসিত গোয়া দখলেও ইতিমধ্যেই মাঠে নেমে পড়েছে বঙ্গের শাসক দল।
{link}
গোয়া এবং ত্রিপুরা ছাড়াও তৃণমূলের নজরে রয়েছে আরও ১৩টি রাজ্য। অভিষেক বলেন, আমরা ইতিমধ্যেই ত্রিপুরা এবং গোয়া পৌঁছে গিয়েছি। দলটি আগামী তিন মাসে উত্তরপ্রদেশ ও মেঘালয় সহ পাঁচটি রাজ্যে তাদের ভিত্তি প্রসারিত করবে। তিনি বলেন, অগামী এক বছরের মধ্যে আমরা ১২ থেকে ১৫টি রাজ্যে ওয়ার্কিং ইউনিট স্থাপন করব।
মোদি-শাহের গুজরাটেও যে বিজেপি থাবা বসাতে চলেছে এদিন তাও জানান তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, গুজরাট, গোয়া, ত্রিপুরা এবং উত্তর প্রদেশ নির্বাচনে এবার প্রতিযোগিতায় নামবে তৃণমূল। করবে ভালো ফলও। অর্থাৎ আত্মবিশ্বাসের সাথেই কেন্দ্রে নিজ দলকে প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্য দ্রুত পদক্ষেপে এগোচ্ছেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বেরা। যদিও রাজ্য ও কেন্দ্রীয় রাজনীতির মধ্যে ফারাক রয়েছে বিস্তর। রাজ্যে সাফল্য এসেছে, কেন্দ্রতেও আসবে কি?
{ads}