চব্বিশের লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেস ও তৃণমূল কংগ্রেসের সমঝোতা যে ক্রমশ কঠিন হয়ে উঠছে তা যেন ধীরে ধীরে আরও স্পষ্ট হয়ে উঠছে। আর সেই পথ যে তৃণমূল নেত্রী নিজের বন্ধ করে দিচ্ছেন তাও যেন অনেকটা স্পষ্ট। নির্বাচনে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একটি মন্তব্যেই কংগ্রেস- তৃণমূল কংগ্রেসের সমঝোতার পথ বন্ধ হয়ে গিয়েছে। অন্ততঃ এমনই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। দিন কয়েক আগে মহারাষ্ট্র সফরে গিয়ে ইউপিএ-র অস্তিত্ব অস্বীকার করেছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ওয়াকিবহাল মহলের মতে, তার জেরেই কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূলের জোটের সমঝোতার পথ বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
কেবল ইউপিএ নয়, কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর নাম না করে তাঁর বিদেশ সফরকেও কটাক্ষ করা হয়েছে। সেটাও কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব ভালো চোখে দেখছেন না বলে সূত্রের খবর। কংগ্রেসের সঙ্গে তৃণমূলের সমঝোতার পথ বন্ধ হওয়ার সেটাও একটা কারণ।
{link}
২০০৪ সাল থেকে কংগ্রেসের নেতৃত্বে ইউপিএ জোট রয়েছে তৃণমূল। প্রথম মনমোহন সরকারের আমলে তারা বাইরে থেকে সমর্থন করেছিল সরকারকে। কারণ সেই সময় সিপিএম ছিল ইউপিএতে। ২০০৯ সালে তৃণমূল সরাসরি ইউপিএতে শামিল হয়। ’১৩ সালে আবার বেরিয়ে যায়। তবে রাজনীতিতে কংগ্রেসের সঙ্গে বন্ধুত্বের সম্পর্ক বজায় রেখেই চলে তারা। কিন্তু বর্তমানে সেই ছবি যেন ক্রমশ পরিবর্তিত হচ্ছে।
কংগ্রেস-তৃণমূলের সমঝোতা ভেঙে গেলেও তাতে কংগ্রেসের কোনও ক্ষতি হবে না বলেই ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা। কারণ এই মুহূর্তে তারা ক্ষমতায় না থাকলেও দেশের সর্বত্রই রয়েছে কংগ্রেসের সংগঠন। তাই কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে বিজেপি বিরোধী জোট সম্ভব নয়। এ কথা তৃণমূলকে মনে করে দিয়েছিলেন এনসিপির বর্ষীয়ান নেতা শারদ পাওয়ার। সেই সব কিছু তোয়াক্কা না করেই বিভিন্ন রাজ্যে কংগ্রেসের সংগঠন ভেঙে নিজেদের শক্তি বৃদ্ধি করতে নেমেছে তৃণমূল কংগ্রেস। এইভাবে চলায় সুবিধা হচ্ছে শাসক শিবির বিজেপিরই। সেই কারনেই এহেন পরিস্থিতিতে দিল্লি দখলে কংগ্রেস-তৃণমূল জোট আদৌ হয় কিনা, এখন তা-ই দেখার।
{ads}