রাজ্য রাজনীতিতে তিনি একাই একশো, শেষ বিধানসভা নির্বাচনে তার একার নামের উপর নির্ভর করেই বিপুল জয় পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু রাজ্যে ও কেন্দ্রীয় রাজনীতির মধ্যে ফারাক রয়েছে বিস্তর। বর্তমানে জাতীয় রাজনীতিতে ক্রমেই একা হয়ে পড়ছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়! আপাতত এই প্রশ্নই ঘোরাফেরা করছে রাজনৈতিক মহলে। তার কারণ কংগ্রেসের সঙ্গে একাধিক দল থাকলেও এই মুহূর্তে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একা। শীতকালীন অধিবেশনে দিন দুই আগে কংগ্রেস সদলে বেরিয়ে গেলেও বেশ কিছুক্ষণ সংসদে ঠায় বসে থাকে তৃণমূল। পরে অবশ্য তারাও বেরিয়ে যায়।
বিরোধী ঐক্য শিকেয় তুলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জোর দিয়েছেন তৃণমূলের পক্ষ্ম বিস্তারে। সেই কারণেই তৃণমূল বিভিন্ন রাজ্যে পোক্ত করতে চাইছে সংগঠনের ভিত। সেই কারণেই সে ক্রমেই একা হয়ে পড়ছে বলে ধারণা রাজনৈতিক মহলের একাংশের। চলছে সংসদের শীতকালীন অধিবেশন। সেখানেও কংগ্রেসের একা হয়ে পড়ার ছবি ধরা পড়েছে। দেখা যাচ্ছে, কংগ্রেসের পাশে একাধিক দল থাকলেও তৃণমূল চলছে একলাই। যদিও তৃণমূল জোর কদমে প্রচার করছে বিজেপি বিরোধী শক্তির মুখ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই।
{link}
১২ জন সাংসদকে বহিষ্কারের ব্যাপারে বিজেপি-বিরোধী সর্বদল বৈঠক ডেকে ছিল কংগ্রেস। কংগ্রেসের ডাকা সেই বৈঠকে বিভিন্ন দল উপস্থিত ছিল। তবে যোগ দেয়নি তৃণমূল। যদিও কোন পথে বিজেপির মোকাবিলা করা হবে তা নিয়ে আলাদা করে বৈঠক করেছেন তৃণমূল নেত্রী। অবশ্য কেবল তৃণমূল নয়, সমাজবাদী পার্টি, বহুজন সমাজবাদী পার্টি, আম-আদমি পার্টিও গরহাজির ছিল। সাংসদদের বহিষ্কারের প্রশ্নে তৈরি যৌথ বিবৃতিতেও সই করেনি তৃণমূল। তবে সমাজবাদী পার্টি, বহুজন সমাজবাদী পার্টি কিংবা আম আদমি পার্টি কংগ্রেসের সঙ্গে না থাকলেও, ইতিমধ্যেই তারা সঙ্গে পেয়ে গিয়েছে দেশের ১৬টি রাজনৈতিক দলকে।
কেন্দ্রে কংগ্রেসের শক্তি মূলত বিজেপির পরেই। এহেন কংগ্রেসে তৃণমূল কংগ্রেসের কাছে কি আদৌমাথা নত করবে? সেই সম্ভাবনা অত্যন্তই নগন্য। কিন্তু এই মূহূর্তে নিজেদের শক্তি বৃদ্ধি ও কেন্দ্রে নিজেদের দলকেই বিরোধী প্রধান মুখ করে তুলতে ময়দানে নেমেছে তৃণমূল কংগ্রেস। ক্রমশ বাড়তে থাকা দিনের সাথেই জটিলতর হয়ে উঠছে কেন্দ্রীয় রাজনীতির চিত্র।
{ads}