ত্রিপুরায় ঝড় তুলেও ফুল ফোঁটাতে ব্যর্থ হয়েছে তৃণমূল শিবির। আগামী চব্বিশের নির্বাচনের পূর্বে দেশের যে সমস্ত রাজ্যে নিজেদের শক্তপোক্ত সংগঠন গড়ে তুলেছিল তৃণমূল তার মধ্যে অন্যতম এই ত্রিপুরা। বহু আশার ঝড় তুললেও শেষ পর্যন্ত পুরসভা নির্বাচনে ত্রিপুরায় প্রাভাব ফেলতে ব্যার্থ রাজ্যের শাসক শিবির। এবার হাতে রইল গোয়া। গোয়ায় যদি মুখ থুবড়ে পড়েন, তাহলে মাঠে মারা যাবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিল্লি দখলের স্বপ্ন। সেই কারণেই গোয়াকে আঁকড়ে ধরতে চাইছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
এ বছর বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল জনাদেশ নিয়ে নবান্নের তখতে ফেরে তৃণমূল। বাংলায় পায়ের নীচের মাটি শক্ত হতেই গোটা দেশে সংগঠন বিস্তারের পরিকল্পনা করে জোড়াফুল শিবির। সেই মতো উত্তর পূর্বের ত্রিপুরা, মণিপুর, মেঘালয়ের পাশাপাশি আরব সাগরের তীরের ছোট্ট রাজ্য গোয়ার দিকেও শ্যেনদৃষ্টি দিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দল। ইতিমধ্যেই সেখানে সংগঠনও গড়ে তুলে ফেলেছে তৃণমূল। গোয়ার দুই প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কংগ্রেস ছেড়ে হাতে তুলে নিয়েছেন জোড়াফুল আঁকা ঝান্ডা।
{link}
গোয়া সফরের আগে আগেই মহারাষ্ট্রে গিয়েছিলেন মমতা। জোটসঙ্গীর খোঁজেই মায়ানগরী গিয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। সেখানে তিনি সাক্ষাৎ করেন বর্ষীয়ান রাজনীতিক তথা এনসিপি সুপ্রিমো শারদ পাওয়ারের সঙ্গে। পাওয়ার তৃণমূল নেত্রীকে স্পষ্ট জানিয়ে দেন, কংগ্রেস ছাড়া দানা বাঁধতে পারে না বিজেপি-বিরোধী জোট। এই যাত্রায়ই তৃণমূল নেত্রী বৈঠক করেন এনসিপির জোটসঙ্গী শিবসেনার সঙ্গেও। এই বৈঠকেও শিবসেনার তরফে তৃণমূল নেত্রীকে স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয় কংগ্রেসকে বাদ দিয়ে বিজেপি-বিরোধী জোট অসম্ভব। শুধু তাই নয়, মমতার সঙ্গে বৈঠকের পরের দিনই শিবসেনা নেতা সঞ্জয় রাওয়াত দিল্লি উড়ে গিয়ে দেখা করেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধির সঙ্গে। রাতারাতি বদলে যায় সমীকরণ। স্বাভাবিকভাবেই একা হয়ে পড়েন তৃণমূল নেত্রী।
এমতাবস্থায় মমতার কাছে গোয়া এখন সত্যিকারের একটা চ্যালেঞ্জ। নতুন বছরের ফেব্রুয়ারিতে গোয়া বিধানসভা নির্বাচন। সেখানে সাফল্য মিললে মসৃণ হবে দিল্লির দরবারে পৌঁছানোর পথ। সেই কারনেই এতোবার গোয়া উড়ে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী ও তার দলের শীর্ষ নেতৃত্বেরা। গোয়ার একাধিক রাজনৈতিক নেতৃত্ব ছাড়াও দলে নেওয়া হয়েছে লিয়েন্ডার পেজের মতো দেশের শীর্ষ ক্রীড়া ব্যাক্তিত্বকেও। লক্ষ্য একটাই, গোয়ায় ঘাসফুল প্রস্ফুটন করা। এখন সমুদ্রের তীরের রাজ্যে বালির উপর ঘাসফুল গজিয়ে ওঠে কি না, তাই দেখার বিষয়।
{ads}