একসময় অন্যতম শক্ত ঘাঁটি থাকলেও সেই ঘাঁটিতে এখন প্রভাব বসিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। নিজেদের সংগঠনের শক্তিক্ষয় হয়েছে অনেকটাই। ঘাসফুল শিবিরের শক্তিবৃদ্ধির লক্ষ্যে তৃণমূল নেত্রী ঘুরে গিয়েছেন, ফের যাওয়ার প্রস্তুতিও নিচ্ছেন। তার আগেই গোয়া সফরে আসছেন কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়ঙ্কা গান্ধি বঢরা। সূত্রের খবর, গোয়া সফরে গিয়ে জনসভায় ভাষণও দেবেন প্রিয়ঙ্কা। কংগ্রেস নেতাদের সঙ্গে বৈঠকও করতে পারেন গোয়ায় কংগ্রেসের দলীয় সংগঠন নিয়ে।
২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে গোয়া বিধানসভার নির্বাচন। তার আগে আগামিকাল, শুক্রবার গোয়া যাচ্ছেন তিনি। এদিন শহিদ স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন তিনি। কুয়েপেম তালুকের মরপিলার উপজাতি মহিলাদের সঙ্গে আলাপচারিতা এবং মধ্যাহ্নভোজ করবেন। এমসিসি হলে আমচেম মোল্লেম ছাত্র কর্মীদের সঙ্গে আলাপচারিতা করবেন বলেও কংগ্রেস সূত্রে খবর।
{link}
হাত-শিবির সূত্রে খবর, কোস্টা গ্রাউন্ড, আকেম-এ একটি মহিলা সম্মেলন প্রিয়দর্শনীতেও ভাষণ দেওয়ার কথা প্রিয়ঙ্কার। মহিলা কংগ্রেসের পদাধিকারী এবং কর্মচারিদের সঙ্গেও একটি পরিকল্পনা করা হয়েছে। চিকালিম মাঠে মুরমুগাওয়ের দলীয় কর্মীদের একটি সম্মেলনেও যোগ দেওয়ার কথা প্রিয়ঙ্কার। বুধবার শিবসেনা সাংসদ সঞ্জয় রাউত দেখা করেন প্রিয়ঙ্কার সঙ্গে। দুজনের মধ্যে ঘণ্টাখানেক বৈঠকও হয়। তার পরেই শিবসেনার বর্ষীয়ান নেতা সঞ্জয় কংগ্রেসের সঙ্গে প্রাক-নির্বাচনে কংগ্রেসের সঙ্গে জোটের ইঙ্গিত দেন তিনি।
মাসদুয়েক আগেই কংগ্রেস ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিয়েছিলেন গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কংগ্রেসের লুইজিনহো ফেলেইরো। কলকাতা উড়ে এসে তিনি যোগ দেন তৃণমূলে। দিন দুয়েক আগে কংগ্রেস বিধায়ক তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী রবি নায়েকও হাতে তুলে নিয়েছেন তৃণমূলের ঝান্ডা।অক্টোবরে গোয়া গিয়েছিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধি। তার পর এবার যাচ্ছেন প্রিয়ঙ্কা। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে গোয়ায় দলের পুরোনো মজবুত ভীত কি আবার ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হবেন তিনি? নাকি এভাবেই লেগে থাকবে ভাঙন?
{ads}