পাঞ্জাবে কংগ্রেসকে ঘিরে অশান্তি লেগেই রয়েছে। একদিকে যখন ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং পাঞ্জাব লোক কংগ্রেস দল তৈরি করার পাশাপশি বিজেপির সাথে জোটও ঘোষনা করে দিয়েছেন, এহেন সময়ের উল্টোদিকে অশান্তি আর কাটছেনা কংগ্রেস শিবিরে। ফের অশান্তি প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতিকে নিয়ে! নভজ্যোত সিং সিধুকে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন চান্নি মন্ত্রিসভার এক সদস্য। সিধুকে রাজনৈতিক ভাড়াটে গুন্ডা বলেও অভিহিত করেন পঞ্জাবের ওই মন্ত্রী।
{link}
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রাক্তন ক্রিকেটার নভজ্যোত সিং সিধুর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন চান্নি মন্ত্রিসভার এক মন্ত্রী। এই সিধুর সঙ্গে মনান্তরের জেরে মুখ্যমন্ত্রী পদে ইস্তফা দেন ক্যাপ্টেন অমরিন্দর সিং। এবার মন্ত্রী রাণা গুরজিৎ সিং তোপ দাগলেন সিধুকে। তিনি বলেন, উনি(সিধু) আসল কংগ্রেস কর্মীদের বিশ্বাসযোগ্যতা ও আনুগত্য নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন, যেখানে উনি কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন কেবল মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার জন্য। মন্ত্রী বলেন, আপনি যত তাড়াতাড়ি বিদায় নেবেন, ততই দলের পক্ষে ভাল। কারণ আপনি এসেই দলের ভিতরে ভাঙন ধরিয়েছেন। এবং ক্ষতি করেছেন। আপনার আসল রাজনৈতিক নেতাদের নির্দেশেই কোনও গোপন উদ্দেশ্য পূরণ করতে এসেছেন আপনি। এখনও ওঁরাই আপনাকে নিয়ন্ত্রণ করছেন।
{link}
২০১৭ সালে পঞ্জাব বিধানসভা নির্বাচনের পর বিজেপি ছেড়ে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন সিধু। সে প্রসঙ্গ উল্লেখ করে গুরজিৎ বলেন, আপনি সেই সব রাজনৈতিক দস্যুদের মতো, যারা কেবল মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার লোভেই দলে যোগ দেন। আমি জন্ম থেকেই এই দলেই রয়েছি। তিনি বলেন, হাস্যকর বিষয় হল, যিনি এক দল থেকে অন্য দলে লাফিয়ে বেড়ান, কোনও দলে পাঁচ বছরও থাকেন না। তিনি আমাদের দিকে আঙুল তুলছেন, যারা সারা জীবন একটি দলের সেবায়ই অতিবাহিত করেছেন। অর্থাৎ একথা স্পষ্ট যে সিধু উপরে এখনও পাঞ্জাবে একটা বৃহৎ অংশের কংগ্রেস নেতাকর্মী যে চটে রয়েছেন। এখন এর প্রভাব ভোটে ঠিক কিভাবে পড়বে তাও দেখার বিষয়। কারন প্রতিপক্ষ যথেষ্ট শক্তিশালী এবং উপরন্তু জোট-এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে নামতে হবে পাঞ্জাব কংগ্রেস শিবিরকে। কিন্তু এভাবে চলতে থাকলে যে বিরোধীদেরই সুবিধা হবে, তা আন্দাজ করা খুব একটা কঠিন নয়।
{ads}