বঙ্গ বিজয়ের পর এবার তৃণমূল নেতৃত্বের পাখির চোখ উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলি। এর মধ্যে সবার ওপরে রয়েছে বাঙালি অধ্যুষিত ত্রিপুরা। লোকসভা নির্বাচনের আগের বছরই সেখানে বিধানসভা নির্বাচন। ওই নির্বাচনে বিপ্লব দেবকে ক্ষমতাচ্যুত করে ঘাস্ফুলের পতাকা প্রতিষ্ঠা করাই প্রথম ও প্রধান লক্ষ্য তৃণমূল নেতৃত্বের। এর মধ্যেই বিজেপির বেশ কয়েকজন প্রথম সারির নেতার তৃনমুলে যোগ দেওয়ার প্রবল সম্ভবনা রয়েছে।
{link}
এদিন বিজেপির বেসুরনেতা সুদিপ রায়বর্মন বলেন,”সবার তো সমানভাবে দিন যায় না...গতিটা একটু স্লো করো।“ এদিন নাম না করে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিজেপির বিপ্লব দেবকে এই পরামর্শ দিয়েছেন ‘বিদ্রোহী’ বিধায়ক দলেরই সুদীপ রায়বর্মণ। যার জেরে ফের রাজনৈতিক মহলে ছড়িয়েছে জল্পনা, তাহলে কি তৃণমূলের খাতায়ই নাম লেখাচ্ছেন সুদীপ! এ ব্যাপারে সুদীপ অবশ্য জানিয়ে দিয়েছেন, তাঁর সঙ্গে কারও যোগাযোগ হয়নি। যদিও ওয়াকিবহাল মহলের মতে, বিধায়ক ভাঙিয়ে সুদীপ যোগ দেবেন তৃণমূলেই!
{link}
ত্রিপুরা লক্ষ্য পূরণেই বাঙালি অধ্যুষিত ত্রিপুরার সার্বিক পরিস্থিতি খুঁটিয়ে দেখতে প্রথমে ইলেকশন স্পেশালিস্ট পিকে-র সংস্থা আইপ্যাক গিয়ে সমীক্ষা চালায়। সেখানে তাদের বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে প্রশাসনের বিরুদ্ধে। পরে ত্রিপুরা যান তৃণমূলের সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পর থেকে ত্রিপুরায় কার্যত ঘাঁটি গেড়ে বসে রয়েছেন তৃণমূল নেতারা। সেই সঙ্গে চলছে বিজেপি সহ অন্যান্য দলের নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ স্থাপন। তারই ফলশ্রুতি হিসেবে, বিজেপি নেতা সুদীপ রায়বর্মণ বিদ্রোহী হয়ে উঠেছেন বলে ঘাসফুল শিবিরের একটি অংশের মত।
নাম না করে মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে সুদীপ বলেন, সবার তো সমানভাবে দিন যায় না...গতিটা একটু স্লো করো। কেবল মুখ্যমন্ত্রী নন, দলীয় কর্মীদের উদ্দেশ্যেও বার্তা দিয়েছেন সুদীপ। তিনি বলেন, একটু রাজনৈতিক পরিস্থিতি বুঝে পা ফেলা উচিত। এ কীসের ইঙ্গিত দিলেন বিজেপির বিদ্রোহী বিধায়ক! সুদীপ রায়বর্মনের এই তৃনুমুল যোগের জল্পনার জল কতদুর গড়ায় এখন সেটাই দেখার।
{ads}