ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলছে আসন্ন বিধানসভা নির্বাচন। সামনে গদি ও সত্ত্বা রক্ষার লড়াই। এহেন কঠিন লড়াইয়ের পূর্বেই স্বস্তিতে নেই উত্তর প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্য নাথ! ভোটের মুখে বিজেপি ছাড়ছেন একের পর এক বিধায়ক। যোগ দিচ্ছেন শত্রু শিবিরে। সেখানেই বাড়ছে চিন্তা, স্বাভাবিকভাবেই অস্বস্তিতে যোগী সরকার। তবে মুখ্যমন্ত্রী পদপ্রার্থী যোগীর জয় সুনিশ্চিত করতে তাঁকে দাঁড় করানো হতে পারে অযোধ্যা বিধানসভা কেন্দ্রে। উত্তর প্রদেশের বিজেপি নেতারা অন্তত এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। বাকি কেবল প্রধানমন্ত্রীর সম্মতির।
{link}
গত বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল ভোটে উত্তর প্রদেশে জয় পায় বিজেপি। মুখ্যমন্ত্রী হন নাথ সম্প্রদায়ের যোগী আদিত্যনাথ। বিধানসভা নয়, বিধান পরিষদের সদস্য হয়েছিলেন তিনি। তবে এবার বিধানসভা ভোটেই লড়বেন। দিন কয়েক আগে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন, দল যেখানে দেবে, সেখানেই লড়বেন। তবে সমস্যা অন্যত্র। কারণ যোগীর বিরুদ্ধে ক্রমেই দানা বাঁধছে ক্ষোভের পারা। যার জেরে গত ৪৮ ঘণ্টায় বিজেপি ছেড়ে সমাজবাদী পার্টিতে গিয়ে যোগ দিয়েছেন প্রায় এক ডজন বিধায়ক। ঘটনায় যারপরনাই অস্বস্তিতে যোগী সরকার। এহেন পরিস্থিতিতে যোগীকে কোথায় দাঁড় করানো যায়, তা নিয়ে চিন্তায় বিজেপি নেতৃত্ব। বছর পঞ্চাশের যোগী স্বয় পূর্ব উত্তর প্রদেশের। সেখানকার গোরক্ষপুর থেকে পাঁচবার সাংসদ হয়েছেন। তবে ওই অংশের বেশ কয়েকজন ওবিসি নেতা বিজেপি সঙ্গ ত্যাগ করে সমাজবাদী পার্টিতে গিয়ে ভিড়েছেন। যা যোগীর পক্ষে যথেষ্ঠ চিন্তার কারণ। সেই জন্যই অযোধ্যা আসনটি বেছে নেওয়া হচ্ছে যোগীর জন্য। কারণ অযোধ্যায় রাম মন্দির নির্মাণ নিয়ে বেশ খানিকটা ফ্রন্ট ফুটে বিজেপি। তাই মোদির সম্মতি মিললে এখানেই দাঁড় করানো হতে পারে যোগীকে। তবে এই আসনটিও যোগীর পক্ষে মসৃণ হবে না খুব একটা। কারণ অযোধ্যা বরাবর সমাজবাদী পার্টির দুর্গ।
{link}
সেই কারনেই অযোধ্যায় দাঁড়ালেও যে যোগীর কাছে লড়াই বেশ কঠিন হবে তা স্পষ্ট। তবে রাম মন্দির ইস্যু কে কেন্দ্র করেই অযোধ্যায় ভোটে জয়লাভের রাস্তায় নামবে বিজপি তা স্পষ্ট। সমাজবাদী পার্টি এই কেন্দ্রে কি পরিকল্পনা নিয়ে অবতীর্ন হবে তাও লক্ষনীয় বিষয় হবে। এখন রাম নাম জপ করার মাধ্যমেই বিজেপি অযোধ্যায় পদ্ম ফোঁটাতে সক্ষম হবে কি না, তাই দেখার বিষয়।
{ads}