প্রতীক্ষার অবসান , অবশেষে চলল চাকা , দীর্ঘ সাত মাস পর ব্যাস্ততম স্টেশন তাঁর পুরানো ছন্দে , ফিরে পেল তাঁর প্রাণ , দেখা গেল রেল যাত্রীদের ভিড় , শোনা গেল সেই পুরানো ধবনি '৯ নম্বর প্লাটফর্ম দিয়ে বনগাঁ লোকাল ছাড়বে' ।রেলযাত্রীরা দৌড়ালেন ট্রেন ধরে তাঁদের গন্তব্যস্থলে পৌছাবেন বলে ।
সকাল থেকেই শিয়ালদহ স্টেশনে যাত্রীদের ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো । স্টেশনে প্রবেশ করতে গেলে সমস্ত যাত্রীদের প্রথমে চলছে থার্মাল স্ক্রীনিং এবং যে সমস্ত যাত্রীরা স্টেশনে প্রবেশ করছেন প্রত্যেককে মাস্ক পড়তে হচ্ছে । নিজেদের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে হচ্ছে। এদিন সকাল থেকে শিয়ালদহ স্টেশনে এবং স্টেশন চত্বরে চোখে পড়ল পুলিশি নজরদারি। আরপিএফ এবং জিআরপি সকাল থেকেই মোতায়েন করা ছিল শিয়ালদহ স্টেশনে । সকাল গড়াতে না গড়াতেই শিয়ালদহ স্টেশনে উপস্থিত ছিলেন রেলের আধিকারিকরাও। {ads}
রেলযাত্রীরা স্টেশনে প্রবেশ করার সঙ্গে সঙ্গেই শিয়ালদহ স্টেশনের বাইরে থেকে ভেতরে সর্বত্র জায়গা জীবাণুমুক্ত করা হচ্ছে। তার কারণ একাধিক যাত্রী স্টেশনের মধ্যে প্রবেশ করছেন। তাই যাত্রী প্রবেশ করার সঙ্গে সঙ্গে সেই সমস্ত জায়গা জীবাণুমুক্ত করে দেওয়া হচ্ছে। নির্দিষ্ট একটি সংস্থাকে এই দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ।শুধু স্টেশন চত্বরে নয় তার পাশাপাশি যে সমস্ত চেয়ার বা চেকিং মেশিন রয়েছে সেগুলো কেউ জীবাণুমুক্ত করা হচ্ছে। পাশাপাশি মানুষকে আবেদন জানানো হচ্ছে তারা কোন একটি নির্দিষ্ট জায়গায় যেন বেশিক্ষণ দাঁড়িয়ে না থাকেন। যাত্রী একটি স্থান থেকে সরে গেলেই সেই সমস্ত জায়গা গুলো জীবাণুমুক্ত করা হচ্ছে ।পাশাপাশি যে সমস্ত স্ট্যান্ড মেশিন রয়েছে সেগুলো জীবাণুমুক্ত করা হচ্ছে অর্থাৎ সারাদিন ধরে চলবে এই জীবন মুক্ত করার কাজ।
আনলক পর্বে খুলেছে সরকারি-বেসরকারি অফিস কিন্ত লোকাল ট্রেন না চলার কারনে মোটা টাকা খরচা করে পৌঁছাতে হয়েছে অফিসে কিংবা কর্মক্ষেত্রে ।যার ফলে স্বল্প আয়ের ব্যাক্তিদের ক্ষেত্রে এত খরচ সামলানোটাই ভীষণ কঠিন হয়ে পড়েছিল । লোকাল ট্রেন চালু হয়ে স্বস্তিতে যাত্রীরা।
{ads}