header banner

আবাহনে আনন্দ নেই , বিসর্জনে দুঃখ নেই

হাওড়া শহরটা পাঁচশো বছরের ও বেশি পুরোনো। মূলতঃ শিল্প নগরী নামে পরিচিত। গঙ্গার ধার বরাবর চটকল আর ভারী ইঞ্জিনিয়ারিং শিল্প হওড়া কে শিল্প নগরীর তকমাকে সমৃদ্ধ করতো। আজ আর শিল্পের সেই বাড় বাড়ন্ত নেই। আজ আর কলে কারখানায় ভোঁ বা সাইরেনের শব্দ শোনা যায় না। শিল্পের জমিতেই গড়ে উঠেছে বহুতল আবাসন। সে দিনের হাওড়া আজ বদলে গেছে। বদলে গেছে মানুষের জীবন যাত্রা। করোনার ভরা জোয়ারে এক সাময়ের কুলি টাউনে কেমন হচ্ছে দুর্গা পুজো? তা জানতেই খোঁজ খবর শেফিল্ড টাইমসের। বাঙালির বারো মাসে তেরো পার্বণের শ্রেষ্ঠ পার্বন দুর্গোৎসব অনেকটাই জৌলুস হীন। আবেগ উন্মাদনা কিংবা উচ্ছাসের বড় অভাব। সবটাই চলে গিয়েছে করোনার গ্রাসে।

হাওড়া শহর কিংবা গ্রামীণ জেলার নামি বারোয়ারি পুজোর উদ্যোক্তারা এবার পুজোর বাজেটে ব্যাপক কাট ছাট করতে বাধ্য হয়েছেন। কোথাও থিমের বালাই নেই। আলোক রশ্মির কারসাজি নেই। যে কারণে পুজোকে ঘিরে চরম ব্যাস্ততার ছবিটা দেখা যাচ্ছে না মণ্ডপে মণ্ডপে। তবে এরই মাঝে গত এক সপ্তাহ ধরে হাওড়া শহরের কিংবা জেলার বিভিন্ন জায়গায় পোশাকের দোকান গুলোতে কেনা কাটার ভিড় উপচে পড়েছে। যদিও অন্যান বারের তুলনায় তা নিতান্তই কম। জুতোর দোকান গুলোতেও ছিল উৎসব মুখর মানুষের ভিড়। কিন্তু তারপরও পুজোর সেই আনন্দটা দূরবীন যন্ত্রে ফেলেও দেখা যাচ্ছে না। কোভিড আতঙ্কে ভুগছে একটা বড় অংশের মানুষ। এদিকে বিভিন্ন রেস্তোরা গুলো সেজে উঠছে রঙ্গীন আলোতে। ভোজন রসিক বাঙালির রসনা তে তৃপ্তি দিতে নতুন নাতুন স্বাদের খাবারের পসরা সাজাতে ব্যাস্ত রেস্তোরার শেফরা। রেস্তোরা গুলোতে স্বাস্থ বিধি মেনে থাকছে একাধিক ব্যাবস্থা। কিন্তু তারপরও প্রশ্ন হচ্ছে করোনা আতঙ্ক কে দূরে সরিয়ে উৎসব মুখর মানুষ আদৌ রেস্তোরা মুখী হবে কি ?দশভুজা শক্তি দায়িনী মায়ের কাছে সমগ্র বাঙালির প্রার্থনা একটাই .... মা এই ভয়ঙ্কর করোনার প্রকোপ থেকে তুমি তোমার সন্তানদের রক্ষা করো।

Howrah Durgapuja Howrahstationkolkata howrah west bengal bangladesh india durga puja sheffield ttimes durga puja 2020 traditional puja food covid19 non-vgetable independence freedom fighter news media

Last Updated :