header banner

আলপনা আছে , বরণ ডালা আছে , নেই প্রদীপের উজ্জ্বলতা

কোজাগরী লক্ষীপূজার প্রায় চারদিন আগে থেকেই সেজে উঠত খালনা।যার আর এক নাম ‘লক্ষীর গ্রাম’। সারা গ্রামে বারোয়ারি লক্ষীপূজো হয় প্রায় চল্লিশটি, যার মধ্যে অন্ততপক্ষে ২০টি বিশাল বাজেটের থিমের পূজো হতো খলনা গ্রামে। কিন্ত এইবছর করোনা আবহে পাল্টে গেছে সবকিছুই। {ads}


হাওড়া জেলার এক প্রত্যন্ত গ্রামীন এলাকা হল খালনা। বাগনানা-জয়পুর বাস রুটের তিন কিলোমিটার এলাকা জুড়ে সারা খলনাগ্রাম থাকতো লক্ষীপূজোর মত্ত।এক্সময় গ্রাম ভাসত বন্যায়, মাঠেই নষ্ট হত ফসল। তখন কাজের খোঁজে শহরে পাড়ি দিয়েছিলেন গ্রামের অনেকে। এরপরেই গ্রামে লক্ষীর আরাধনা শুরু। দুর্গাপুজো নয়, লক্ষীপূজোই এখানকার শ্রেষ্ঠ উৎসব। কয়েকটি দুর্গাপূজো হলেও ধানদেবী লক্ষীই এখানকার অধীষ্ঠাত্রী দেবী। অন্যবারে প্রায় প্রতি পুজোতেই চোখে পড়ত থিমের তুলির টান এবং আলোর রোশনাই।

কিন্ত এবারে সেখানে চোখে পড়ছে সম্পূর্ন অন্য দৃশ্য। করোনার দাপটে এবার অনেকটাই জৌলুশহীন খালনার কোজাগরীর আরাধনা। কোনরকমে করোনা সম্পর্কিত সবাস্থবিধি মেনেই এবার পুজোর আয়োজন করেছেন উদ্যোক্তারা। জনৈক এক ক্লাবের সদস্য অনুপ দাস জানান বিগত বছরে পুজোর বাজেট ছিল প্রায় চার লাখ টাকা। কিন্তু এবারে তারা ৫০ থেকে ৬০ হাজারের মধ্যেই পুজোর বাজেট রেখেছেন।হচ্ছেনা কার্নিভাল কোন শোভাযাত্রা ও সমারোহ ছাড়াই হবে প্রতিমা বিসর্জন।অন্য এক ক্লাবের সদস্য নবকুমার সানা বলেন এবারের লক্ষীপূজা খুবই অনাড়ম্বরে হচ্ছে।

গোটা খলনাতে যে পূজা অনেকটাই আড়ম্বরের সাথে হতো তা অনেকটাই জৌলুসহীন এবারে। তাই ‘লক্ষীগ্রাম’ এবারে এককথায় করোনার প্রভাবে হারিয়ে ফেলেছে পুরানো ছবি , হারিয়ে ফেলেছে তাঁর আনন্দ , আবেগ ।অন্যান্ন গ্রাম থেকে মানুষ আসেন লক্ষ্মী পুজো উপলব্ধি করতে , কিন্ত এই বছর হাইকোর্টের সমস্ত নিয়মকে মর্যাদা দিয়ে আরাধনা করতে চান পূজা কমিটির সদস্যরা । {ads}

sheffield ttimes awareness five days left for durga puja Child musics sounds songs bagnan durga puja covid 19 test fruit market india kolkata fruit market laxmi puja 2020 laxmi puja song laxmi puja in

Last Updated :