header banner

সাবেকিয়ানা আর ঐতিহ্যে সমৃদ্ধ কাশিমবাজারের রাজবাড়ি

article banner

প্রাচীন ঐতিহ্য মেনে আজও কাশিমবাজার রাজবাড়িতে পূজিতা হন মা। মুর্শিদাবাদের বনেদিবাড়ির পুজো গুলির মধ্যে অন্যতম কাশিমবাজারের ছোট রাজবাড়ির পুজো। সেই রাজাও নেই, নেই সেই রাজ্যপাট। কিন্তু যা আছে তাহল ঐতিহ্য ও পরম্পরা। সেই ঐতিহ্যই বাঁচিয়ে রেখেছে কাশিমবাজারের রায় বাড়ির পুজোকে।

{link}
সোমবার নিষ্ঠা ও ঐতীহ্য মেনে নবমী পূজো এবং কুমারী পূজা অনুষ্ঠিত হয়। ১৭৪০ সালে রেশমের ব্যবসায়ী দীনবন্ধু রায় অধুনা বাংলাদেশের ফিরজপুর থেকে ব্যবসার জন্য এসেছিলেন কাশিমবাজারে। পরে এই কাশিমবাজারেই বসবাস করতে আরম্ভ করেন তিনি। ব্রিটিশ সরকার দীনবন্ধু রায়কে রেশম কুটিরের প্রধান হিসেবে ঘোষণা করে। ব্রিটিশ সরকার আনুকূল্যে ফুলে ফেঁপে ওঠে ব্যবসা। ১৭৯৩  ব্রিটিশ সরকার রায় পরিবার কে জমিদারি স্বত্ব দেয়। মুর্শিদাবাদের কাশিমবাজারের ছোট রাজবাড়িতে তার পর থেকেই শুরু হয় দুর্গাপুজো। এবাড়ির উত্তরসূরিরা এখন শহর নিবাসী। কিন্তু বছরের এই সময়টা জেগে ওঠে সারাবছর অবহেলায় পড়ে থাকা এই জমিদার বাড়ি। রায়বাড়ির বর্তমান প্রজন্ম প্রশান্ত রায়ের তত্ত্বাবধানে সাজসাজ রব পরে যায় এই কটা দিন। প্রশান্ত রায় তার স্ত্রী সুপ্রিয়া রায় তাদের সন্তানদের নিয়ে এই রাজবাড়িতেই কাটান।

{link}

প্রাচীন নীতি মেনে সপ্তমী থেকে নবমী পর্যন্ত তিনদিন এখনে কুমারী পুজো হয় যা রাজবাড়ির মহিলারা করেন। দশমীর দিন হয়  অপরাজিতা পুজো। আগে এই পুজোতে বলি হলেও এখন আর বলি হয় না। এখন মাছ মিষ্টি নিবেদন করা হয় মা দুর্গাকে। আগে আশেপাশের গ্রামের কয়েক হাজার পুজোর কটাদিন মানুষ পাত পেড়ে খেয়ে যেতেন এই রাজবাড়িতে। কিছু বছর আগেও এখানে নীলকণ্ঠ পাখি ওড়ানো হত। কিন্তু কালের নিয়মে সেসব এখন অতীত। বর্তমানে ঐতিহাসিক এই কাশিমবাজার ছোট রাজবাড়ি দুর্গাপূজো দেখতে বহু দুর দুরন্ত থেকে মানুষ আসেন পূজো সামিল হতে। যদিও কোভিড পরিস্থিতিতে এবছর অঞ্জলী দেওয়া বন্ধ থাকছে। গত বছর অঞ্জলী দেওয়া বন্ধ ছিল এবছর অঞ্জলী দেওয়া বন্ধ রাখা হচ্ছে রাজ পরিবারের পক্ষ থেকে।

{ads}

news-Rajbari Murshidabad Kashimbajar bonedi family Bangladesh West Bengal India

Last Updated :