“একটি গাছ, হজারো প্রাণ, বাঁচতে হলে গাছ লাগান”-এই স্লোগানের কথা মাথায় রেখে বসুন্ধরাকে সারিয়ে তুলতে এগিয়ে এলেন এক নব দম্পতি ও তাদের পরিবার। প্রতিটা মুহূর্তে এই পৃথিবীর বুকে টলমল করছে আমাদের অস্তিত্ব। ক্রমশ বাড়তে থাকা তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে না আনতে পারলে, পৃথিবীকে রসাতলে যেতে কেউ আটকাতে পারবেনা। আমরা সবাই এবিষয় গুলো সম্পর্কে জানি কিন্তু এখনো এগিয়ে আসছিনা তাই সংকট বাড়ছে। কথায় আছে সময়ে যদি বিদ্যাকে কাজে লাগাতে না পারো তাহলে সেই বিদ্যা বিদ্যাই নয়। এক্ষেত্রেও একই জিনিস ঘটছে, এখনকার দিনে আমরা সকলেই গ্লোবাল ওয়ার্মিং সম্পর্কে জানি, আমরা জানি বিপদ দোরগোড়ায় তা সত্তেও আমরা চুপচাপ নিশ্চিন্তে বসে আছি। শুধু বসে আছি তাই নয় অপরদিকে আরও বেশি করে ক্ষতি করে চলেছি। কমার পরিবর্তে গাছ কাটা বা পরিবেশ দূষণের মাত্রা দিন দিন বেড়েই চলছে। এই পরিবেশ দূষণ রুখতে, সবুজের পরিমাণ বাড়াতে, মানুষকে সচেতন করতে আলিপুরদুয়ারের এই দম্পতির উদ্যোগ অভিনব।
আলিপুরদুয়ার জেলার কুমারগ্রাম ব্লকের চড়াইমহল এলাকায় এক বৌভাত অনুষ্ঠনে সাধারণ মানুষের হাতে চারাগাছ তুলে দিয়ে সচেতন করল এই দম্পতি। বারবিশার প্রত্যন্ত এলাকা চড়াইমহলে সুকান্ত দাস ও সেবিকা দাসের বৌভাত অনুষ্ঠানে আয়োজন করা হল চারাগাছের। আগত অতিথিদের প্রত্যেকের হতে তুলে দেওয়া হল একটি করে চারাগাছ। তাঁদের পরিবারের সহযোগীতায় প্রায় বারোশো চারাগাছ বিতরণ করা হয়েছে। তাদের এই উদ্যোগে খুশি এলাকাবাসীও। এই বিষয়ে এলাকার বাসিন্দা জয়শংকর দাস বলেন, “সত্যিই এটি অভিনব উদ্যোগ, সাধারণ মানুষের প্রত্যেকের এই কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া উচিত”।এই বিষয়ে গৃহবধু সেবিকা দাস নিজেই বলেন, “পৃথিবীতে যে বিশ্ব উষ্ণায়ন দেখা দিচ্ছে তা রুখতে পারার জন্য আমার পরিবারের পক্ষ থেকে আমাদের বৌভাত অনুষ্ঠানে চারাগাছ বিতরণ করা হচ্ছে, এরজন্য আমি খুব খুশী”।
দিন দিন ধংসের মুখে চলে যাচ্ছে পৃথিবী। আমাদের বেঁচে থাকার একমাত্র উপায় বৃক্ষ রোপন করা। এই গাছই আমদের বেঁচে থাকার মূল অঙ্গীকার। যেভাবে সেবিকা দাস, তার স্বামী ও পরিব্রের লোকজনেরা এগিয়ে এসেছে, ঠিক সেইভাবে আমাদের প্রত্যেকের উচিত এগিয়ে আসা। হাতে সময় খুব কম। নিজেরাতো সচেতন হবই আবার যারা নয় তাদেরকেও সচেতন করব। গাছ লাগাতে হবে বেশি বেশি করে,একটি গাছের পরিবর্তে দশটি গাছ লাগাতে হবে। আবার এই বসুন্ধরাকে সবুজ করে তুলতেই হবে। আসুন সবাই এক হয়ে প্রতিজ্ঞা করি আর সবুজায়নের ধ্বংস নয়, বাড়বে সবুজ।
{ads}