শেফিল্ড টাইম্স ডিজিটাল ডেস্ক : এখন ভ্রমণ মানেই হয় সাগর বা পাহাড়। আর যাদের পাহাড় পছন্দ,তাদের কাছে দার্জিলিং,কালিংপং বেশ পুরোনো হয়ে গেছে। তাদের অনেকেই একটু নির্জনে অফবিট পাহাড় ভ্রমণ পছন্দ করছেন। তাদের জন্যই আজকে আমাদের প্রস্তাব দোরেম (Dorem)গ্রাম। পাশ দিয়ে বয়ে গিয়েছে ছোট্ট পাহাড়ি নদী। তার উপরে একটা ছোট্ট বাঁশের সাঁকো। সেই সাঁকো পেরিয়ে যেতে হয় গ্রামে। দূরে বরফের পাহাড় হাতছানি দিচ্ছে। চারিদিকে সবুজ উঁচু উচুঁ গাছ। মনে হবে কোনও রূপকথার দেশে দাঁড়িয়ে আছেন। আর কি লাগে! সিকিম-পশ্চিমবঙ্গের সীমান্তের অচেনা একটি ছোট্ট গ্রাম।
{link}
সিকিম মানেই যাঁরা নাথুলা-গ্যাংটক-ছাঙ্গু বলে জানেন তাঁদের সকলের কাছেই একেবারে অচেনা এই গ্রামটি। মাত্র ৬টি পরিবার বাস করে এই গ্রামে।তাহলেই আন্দাজ করতে পারছেন কতটা নির্জন আর অফবিট এই গ্রামটি। নেপালি ভাষায় দোরেম শব্দের অর্থ হল বিশ্রাম নেওয়া। তাহলে বুঝতেই পারছেন কেন এই জায়গার প্রস্তাব আমরা দিচ্ছি। আকাশে বাতাসে দূষণ এখনও এখানে ছুঁতে পারেনি। দুদিকে দুটি নদী। মাঝ খানে রয়েছে গ্রামটি। সর্ব সাকুল্যে ৬টি বাড়ি রয়েছে। আমাদের রাজ্যের শেষ গ্রাম। খুব বেশি হয়ে ২০-২২ জনের বাস। এ এক স্বর্গরাজ্য। গ্রামের ৬টি বাড়িই একেবারে সাবেকি পাহাড়ি ধাঁচের। কাঠের দোতলা বাড়ি দেখতে পাবেন এখানে এলে।
{link}
এখানে থাকার কিন্তু তেমন কোনও হেমস্টে নেই এখানে আসতে হলে কাগে, লুংসে এই রকম জায়গায় থাকতে হবে। সেখান থেকে আসতে হবে এই গ্রামে। দোরেমের শেষে রয়েছে ঋষি নদী। গ্রামের একমাত্র মন্দির রয়েছে পাহাড়ের মাথায়। সেখানে পৌঁছতে একটু ট্রেক করতে হয়। পুরোিহতকে ডেকে নিয়ে পৌঁছতে হয় সেই মন্দিরে। তাঁর কাছেই তাকে মন্দিরের চাবি। তিনি প্রতিদিন পুজো দিয়ে আবার ফিরে যান নিজের বাড়িতে। গ্রামের লোকেরা উৎসব অনুষ্ঠান ছাড়া এখানে আসেন না। মন্দিরের নাম বিশ্বেশ্বর শিবালয়। পুরো দোরেম গ্রামে এই একটিই মন্দির। অনায়াসেই সেখানে চলে আসতে পারেন। একেবারে অন্যরকম অভিজ্ঞতা হবে। যারা এমন জায়গা পছন্দ করেন,তাদের কাছে এই গ্রামকে মনে হবে স্বর্গ।
{ads}