header banner

গোটা সেদ্ধ তো খান, খাওয়ার কারণ টা কি জানেন?

article banner

আর মাত্র কিছুক্ষনের অপেক্ষা। তারপরই শুরু স্বরস্বতী পুজো। এই একটা দিন পড়া থেকে ছুটি, মায়ের পায়ে বই-খাতা, পেন-পেন্সিল সমস্ত সরঞ্জাম রেখে দেওয়ার পর যতক্ষণ পর্যন্ত না ঠাকুর জলে  ততক্ষণ পড়াশোনা করতে নেই, কি তাইতো? আমরা সবাই এই দুদিন ঠিক এইভাবেই ফাঁকি মেরে  বেরাই। সে কথা না হয় থাক। এইসময়ে আমাদের ঘরে ঘরে আরেকটা জিনিস হয়, যা নাহলে ঠিক পুজোটা জমে না। সেটা হল গোটা সেদ্ধ। পঞ্চমীর তিথি কেটে যাওয়ার পর ঘরে ঘরে পালন করা হয় শীতল ষষ্টি। এই শীতল ষষ্টিতে মা-বোনেরা সন্তান ও সংসারের মঙ্গল কামনায় ব্রত করেন, সেই ব্রত ভঙ্গন করেন এই গোটা সেদ্ধ খেয়ে। এই দিন বাঙলার ঘরে ঘরে অরন্ধন পালন করা হয়, সেই জন্য আগের দিন থেকেই এই গোটা সেদ্ধ রান্না করে রেখে দেওয়ার নিয়ম আছে। এছাড়াও এর একটি বৈজ্ঞানিক দৃষ্টিভঙ্গিও আছে। এই সময়ে যেহেতু হাম, পক্স, চিকেন পক্স ইত্যাদি হতে দেখা যায় তাই গোটা সেদ্ধ খেয়ে শরীরকে ঠাণ্ডা রাখা হয়। ডাক্তাররাও এই গোটা সেদ্ধ খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এই খাদ্যটিকে কমর্ফট ফুডও বলা হয়। 

এই গোটা সেদ্ধ বানানোর একটি নির্দিষ্ট নিয়মাবলী আছে। নতুন মরশুমি শাকসবজি যেমন শীষ পালং, গোটা মুগ, গোটা বেগুন, গোটা শিম, গোটা কড়াইশুঁটি, টোপা কুল, সজনে ফুল দিয়ে তৈরি হয় এই গোটা সেদ্ধ। পুজোর পর বিকেলে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন হাঁড়িতে করে চাপানো হয় গোটা সেদ্ধ। অনেকে মশলাও দিয়ে থাকেন। সবজি গুলো ফুটে গেলেই রান্না হয়ে যায় অতি সহজেই। কোন সবজি কাটা হয়না, সব কিছু গোটা গোটা দেওয়া হয়, তাই এর নাম গোটা সেদ্ধ। শীতল ষষ্টির দিন আগে বাড়ির শীল-নোড়ার পুজো করা হয়, টক দইয়ের ফোঁটা দেওয়া হয় শীল-নোড়াতে, তারপর সেই টক দই ছড়িয়ে দেওয়া হয় গোটা সেদ্ধর ওপরে। তারপর এটি হয়ে ওঠে ভোজনের উপযুক্ত।


এই গোটা সেদ্ধ অত্যন্ত সহজপাচ্য। এটি শুধু এই দিনের জন্য নয়, যে কোন সময়ের জন্য এটি পুষ্টিকর খাদ্য।যেমন স্বাদ, তেমন গুন। এখনকার ব্যাস্ততার দিনে অনেক ঘরে ঘরে গোটা সেদ্ধর চল প্রায় নেই বললেই চলে কিন্তু মা-দিদিমার হাতের এই রান্নার স্বাদের সাথে অন্যকিছুর তুলনাই বৃথা।  

{ads}       

Gota Siddho Rituals Boiled Food Healthy Comfort Food Saraswati Puja Bengali Festival Bengali Valentine Day Entertainment West Bengal India

Last Updated :