header banner

ভারতের যে সব স্থানে আজও বাস্তবে দেখা মেলে অশরীরীর...

article banner

আপনার ভূতের ভয় আছে নাকি? সে আপনি ভয় যতই পান, ভূতের ব্যাপারে আপনার কৌতূহল নিশ্চয়ই রয়েছে। ভারতের বেশ কয়েকটি জায়গায় নাকি আজও রয়েছেন তেনারা। তাই সেসব জায়গায় যেতে নিষেধ করা হয়েছে সরকারের তরফে। 

{link}


দিল্লি ক্যান্টনমেন্ট সেখানকার ক্যান্টনমেন্ট অঞ্চল একেবারে গাছে ঘেরা। ফাঁকা রাস্তা। গাড়ি নিয়ে যাওয়ার সময় সেখানে সাদা শাড়ি পরা এক মহিলা মাঝে মাঝেই লিফট চান। লিফট দিতে অস্বীকার করলে তিনি গাড়ির পিছনে ওই গতিতে দৌড়ে আসেন! এই রাস্তাতেও মানুষ খুব দরকার না পড়লে, এখন আর যায় না। দিল্লিরই অগ্রসেন কি বাওলি’ও একটি ঐতিহাসিক স্থান। এক সময় এখানকার এক অন্ধকূপে ফেলে হত্যা করা হত বহু মানুষকে। তাঁদের অতৃপ্ত আত্মা আজও ঘুরে বেড়ায় প্রতিশোধস্পৃহায়। সূর্যাস্তের পরে এখানেও তাই প্রবেশ নিষেধ। 


পুনের সানিওয়াড়ওয়াড়া কেল্লার এক ঐতিহাসিক গল্প রয়েছে। এখানে পূর্ণিমার রাতে নাকি এক রাজকুমারকে দেখা যায়। সেই রাজকুমারের যখন ১৩ বছর বয়স, তখন তাঁকে খুন করা হয়েছিল। খুন করেছিলেন তাঁর এক আত্মীয়ই। সেই রাজকুমারের অতৃপ্ত আত্মাই নাকি এখনও পূর্ণিমার রাতে চলে আসে।

{link}


রাজস্থানের কোটার রাজবাড়ি ভবন প্রায় ১৭৮ বছরের পুরনো। রাজস্থানের কোটার ব্রিজরাজ ভবনে সিপাহি বিদ্রোহের সময় মেরে ফেলা হয়েছিল মেজর বার্টন ও তাঁর ছেলেকে। এই রাজবাড়িতেও রাত্রিবেলা এক পুরুষকে হাঁটতে দেখা যায়। তাঁদের অশরীরি আত্মাও ঘুরে বেড়ায় আজও। 


মীরাট এর জিপি ব্লক এইখান থেকে যাওয়ার সময় অনেক মানুষই দেখেছেন সাদা পোশাকে চারটি ছেলে একেবারে দোতলা বাড়ির ছাদে বসে ফিসফিসিয়ে গল্প করছে। ওদের হাতে রয়েছে বিয়ারের গ্লাসও। কখনও সখনও কেউ কেউ দেখেছেন, একটি মেয়েও লাল পোষাক পরে ওই বাইরে থেকে বেরিয়ে আসছে। ওই ফাঁকা দোতলা বাড়িটিতে যাওয়ায় নিষেধাজ্ঞা।
রাজস্থানের ভানগড় কেল্লা। রাজা মাধো সিংহের তৈরি এই কেল্লায় নাকি প্রবেশ করলে আর কেউ বেরিয়ে আসতে পারেন না। বেশ কয়েকটি মৃত্যুর ঘটনার কথাও শোনা গিয়েছে। তাই সন্ধের পর আর ওই কেল্লায় প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।

{link}


থানের বৃন্দাবন সোশ্যাইটি এখানকার এক বহুতলে দুই নিরাপত্তারক্ষী কর্মরত থাকা অবস্থায়, একজন আর একজনকে গুলি করে মেরে ফেলে। সেই থেকে ওই বহুতলে নাকি ওই মৃত নিরাপত্তারক্ষীর আত্মা ঘুরতে আসে।


মুম্বইয়ের মাহিমের ডিসুজা চাওলে নাকি এক মহিলা জল খাবার সময় মারা যান। সেই থেকে ওই মহিলা প্রায়ই মানুষকে দেখা দেন। তাঁকে ভয় পায় সবাই। নিশিরাতে ঘুরে বেড়ায় তাঁর আত্মাও। সেইজন্য কেউ আর ওখানে যায় না।   


গুজরাটের দুমাস বিচ  সমুদ্র সৈকতে মানুষ পোড়ানো হয়। তাদেরই আত্মারা নাকি রাতে সমুদ্র সৈকতে ঘুরে বেড়ায়। মাঝে মাঝেই রাতে বিচে হাঁটতে গেলেই কাঁধের কাছে কারও ফিসফিস করে কথা বলার শব্দ শুনতে পাবেন। কিন্তু কাউকে দেখতে পাবেন না। সেই ভয়েই রাতে কেউ বিচে যায় না বলেই চলে।
তাঁদের দেখা যায় না। তবে তারা আছেন।

{ads}
 

Haunted Place Horror Story India 21st May সংবাদ বিনোদন

Last Updated :