যত দিন এগিয়ে আসছে ততোই পৃথিবীতে শেষ হয়ে আসছে পৃথিবীতে মানব সভ্যতার আয়ু! অতএব বিকল্প জায়গা জোগাড় করা প্রয়োজন। কিন্তু বিকল্প কই? পৃথিবী ছাড়া তো গতি নেই। বিজ্ঞানীরা বলছেন সেজন্য থাকার মধ্যে আছে হাতের কাছের মঙ্গল। পৃথিবীর পরিবেশ ছেড়ে গিয়ে মঙ্গলের নয়া পরিবেশে মানিয়ে নিতে পারবেন কি? তা যাতে পারেন, তার ব্যবস্থাই করতে চলেছেন নাসার বিজ্ঞানীরা। নাসা চত্বরেই তাঁরা সৃষ্টি করবেন মঙ্গলের পরিবেশ। সেখানেই বেশ কয়েক মাস থাকতে হবে তাঁদের। কারা পারলেন, আর কারা পারলেন না, তা দেখে নেবেন এই মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্রের বিজ্ঞানীরা। তার পরেই ঠিক হবে পরবর্তী কৌশল রচনা।
{link}
সেই তো কবেই বিশ্ববরেণ্য বিজ্ঞানী স্টিফেন হকিং বলেছিলেন, ফুরিয়ে আসছে পৃথিবীর আয়ু। মানুষকেই খুঁজে নিতে হবে তার নয়া বাসস্থান। বিশিষ্ট এই বিজ্ঞানীর এই সতর্কবার্তার ঢের আগেই নাসা খুঁজতে শুরু করে দিয়েছে পৃথিবীর বাইরে আরেকটা ‘পৃথিবী’-র খোঁজ। বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, মঙ্গলই হতে পারে মানুষের পরবর্তী ঠিকানা। সেই কারণেই মঙ্গল নিয়ে নাসা চালিয়ে যাচ্ছে নিরন্তর গবেষণা।
নয়া এই প্রকল্পের নাম মার্স ডিউন আলফা। নাসার অধীনে ১৭০০ বর্গফুটের মধ্যে মঙ্গলের পরিবেশ তৈরি হবে। হিউস্টনের জনসন স্পেশ সেন্টারে থ্রি ডি পেন্টিংয়ের সাহায্যে তৈরি হচ্ছে মঙ্গলের কৃত্রিম পরিবেশ। নাসা কর্তৃপক্ষের দাবি, যদি কখনও মঙ্গলে যেতে হয়, তাহলে কীভাবে থাকবেন, কতদিন থাকতে পারবেন, সেসবের প্রস্তুতি সেরে নিতেই এই প্রকল্প। পৃথিবীর চেয়ে ভিন্ন পরিবেশের সঙ্গে কে কতটা মানিয়ে নিতে পারে, তা বোঝা যাবে। মহাকাশচারীদের শারীরিক ও মানসিক জোরও টের পাওয়া যাবে। এজন্য ইতিমধ্যেই আবেদনপত্র চাওয়া হয়েছে। আবেদনকারীরা ধূমপায়ী হতে পারবেন না। আমেরিকার বাসিন্দা হতে হবে। পটু হতে হবে ইংরেজি বলায়।
{link}
আপনি কি করবেন আবেদন? ইচ্ছা হলে করতেই পারেন, কাজ টা কিন্তু খুব কঠিন। কিন্তু যদি আপনার স্বপ্ন হয় মঙ্গলে অর্থাৎ পৃথিবীর বাইরে অন্য কোন গ্রহে গিয়ে সংসার পাতার, তাহলে একবার চেষ্টা করে দেখতেই পারেন। যদিও এক্ষেত্রে বাঙালির কাছে সবচেয়ে বড়ো বাঁধা হয়ে দাঁড়ানোর সম্ভাবনা হতে পারেন তার প্রিয়জনই। মঙ্গল যাওয়ার স্বপ্নে নিজের অমঙ্গল করে বসবেন না আবার!
{ads}