মা লক্ষ্মীর বাহনের এক নতুন অন্যরুপের দেখা পাওয়া গেল।দেখা মিললো আমাদের হাওড়া শহরেই। খোলা নীল আকাশে উড়তে গিয়ে ঘটলো তার বিপত্তি। ঘুড়ির মাঞ্জাতে আটকে গেল ডানা, ডানা ছাড়ানোর প্রচেষ্টা করতে গিয়ে বাড়ল বিপদ। আঘাতপ্রাপ্ত হল তার ডানা। এরপর নজর পড়লো তারওপরে আশেপাশের মানুষের।খবর দেওয়া হল বনদপ্তরকে।
হাওড়া জেলার উদয়নারায়নপুর থানার অধীন ডোঙ্গাজল গ্রামের কোলেপাড়াতে দেখা পাওয়া গেল এই বিরল প্রজাতির পেঁচাটিকে। গায়ের রং সাদা ও হালকা ছাই ছাই রঙের। তারওপরে গায়ে গুটি গুটি রয়েছে। দেখতে ঠিক লক্ষ্মী পেঁচার মতোই।ওখানকার বাসিন্দা এই পেঁচাটিকে উদ্ধার করে । উদয়নারায়নপুরের তিয়াসা কোলের বাড়িতেই ছিল এই পেঁচাটিকে। পরিবেশকর্মী কুমার কৃষ্ণ মুখার্জির তত্ত্বাবধানে তিয়াশা কোলের বাড়ি থেকে এই আহত পেঁচাটিকে উদ্ধার করে বনদপ্তরের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় এলাকার মানুষ পেঁচাটিকে লক্ষী পেঁচা হিসাবে গন্য করেছে। তাকে সিঁদুর পরিয়ে পুজা করছিল স্থানীয়রা। আঘাত লাগা জায়গাটিতে যত্ন নিয়েছেন তারপর বনদপ্তরের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে। বনদপ্তরের কর্মীদের মতে এটি একটি সম্পূর্ণ অন্য প্রজাতির পেঁচা। তবে লক্ষী পেঁচার সাথে অনেক মিল পাওয়া গেছে এই পেঁচাটির।
{ads}