শেফিল্ড টাইম্স ডিজিটাল ডেস্ক : পঁচেটগড় রাজবাড়ি (PANCHETGARH HERITAGE RAJ BARI) এখনও নিজের ঐতিহ্য নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। বহু মানুষ ভিড় জমায় এই রাজবাড়ি দেখতে। রাজবাড়ির অলিন্দে কিংবা জলসাঘরে হাঁটলেই চোখে পড়বে জমিদারি আমলের ছাপ। বিশেষ আকর্ষণ এখানকার পটে আঁকা দুর্গোৎসব, যা আজকের দিনে খুবই বিরল। পুজোর সময় চারপাশ ভরে ওঠে আলো, ঢাকের শব্দ আর উৎসবের আবহে। শুধু পুজো নয়, এখানে পর্যটকের জন্য রয়েছে রাজকীয় খাবারের বৈচিত্র্যময় আয়োজন এবং রাজকীয় কক্ষে থাকার সুযোগ, যা এই ভ্রমণকে করে তুলবে আরও অনন্য। দিঘা (Digha) থেকে মাত্র ৫০ কিলোমিটার দূরের এই রাজবাড়ি সময়ের স্রোতকে পিছনে টেনে নিয়ে যায়।
{link}
রাজার জলসাঘরে এখনও আছে সেতার, যদুভট্টের এসরাজ, গানের খাতা; রয়েছে রাজ আমলের পুকুর, বাগান, কিশোররাই জিউয়ের মন্দির-সহ বহু নিদর্শন। ইতিহাসের সঙ্গে সঙ্গে এখানে অতিথিরা উপভোগ করতে পারবেন রাজকীয় আতিথেয়তা, অন্দরমহলের সাজান ঘরে রাত্রিযাপন এবং ঐতিহ্যের ছোঁয়ায় ভরপুর রাজকীয় খাবারের আসর। পঁচেটগড় রাজবাড়িতে পৌঁছন খুবই সহজ এবং সোজা। দিঘা থেকে আসতে চাইলে দিঘা-নন্দকুমার ১১৬বি জাতীয় সড়ক ধরে রামনগর হয়ে সরাসরি এগরা আসতে হবে। এগরা থেকে বাজকুল রাজ্য সড়ক ধরে পঁচেট মোড় পর্যন্ত যান, সেখান থেকে মাত্র ১০ মিনিটের মধ্যেই পৌঁছন সম্ভব রাজবাড়িতে। কলকাতা থেকে আসার পথে দিঘা–নন্দকুমার ১১৬বি জাতীয় সড়ক ধরে হেঁড়িয়া বাস স্ট্যান্ড বা ইটাবেড়িয়ার পথে আসা যায়।
{link}
এছাড়া যারা ট্রেনে ভ্রমণ করতে চান, তাঁরা কাঁথি স্টেশনে নেমে এগরাগামী যে কোনও বাসে উঠে এগরা পৌঁছতে পারেন। এরপর পঁচেট মোড় হয়ে মাত্র ১০ মিনিটের পথ ধরে পৌঁছবেন সরাসরি রাজবাড়িতে। রাজবাড়ির সবচেয়ে বড় চমক হল এখানকার রাজকীয় খাবার আর থাকার ব্যবস্থা। দুপুরে ভাত, শাক, ভাজা, সুক্তো, পাঁচ মিশালি সবজি, মুগের ডাল, নানা রকম মাছ—গলদা চিংড়ি, পাবদা, রুই, কাতলা, চাটনি, দই, মিষ্টি , পাপড়—সহ ভরপেট রাজকীয় ভোজ। বিকেলে চিকেন পকোড়া, ভেজ পকোড়া, ফিঙ্গার চিপস সহ নানা স্ন্যাকস। রাতে থাকবে ভাত, রুটি, চিকেন, মাটন ইত্যাদি। সকালে লুচি, তরকারি, পরোটা, ডিম, ফল আর মিষ্টি। মাথাপিছু খরচ প্রায় ২১০০ টাকা।
{ads}