header banner

পলাশপ্রিয়া আসছেন, নিয়ে আসছেন সবাভাবিক জীবনের ছন্দ?

article banner

ঘড়িতে সকাল ছটা বাজতে না বাজতেই বাইরে ঘন্টার শব্দে ঘুম ভাঙা, মায়ের ডাকে ঘুম ঘুম চোখে উঠে চান সেরে নতুন পাঞ্জাবি পরে তৈরি হয়ে নিয়ে একটা ছোট্ট কেউ এগিয়ে যাচ্ছে অঞ্জলি দেওয়র উদ্দেশ্যে। কি নিজের জীবনের সাথে মিশে যাচ্ছে ঘটনাটি? আসলে এই চিত্র প্রায় প্রতিটি বাঙালি ঘরেই দেখা যায় সরস্বতী পূজোর সকালে। "জয়জয় দেবী চরাচর সারে কুচোযুগ শোভিত মুক্তাহারে..." এই মন্ত্র দিয়ে দেওয়া মায়ের কাছে পুষ্পাঞ্জলি, আর তার শেষে আবদার 'এবারের মতো পাশ টা করিয়ে দাও মা, পরের বার থেকে ঠিক পড়ব ভালো করে'- জেনারেশনের পর জেনারেশন পাল্টে গেলেও এই ছবির কোন পরিবর্তন ঘটেনি।  আমাদের বয়স যতই বাড়ুক না কেন এই স্মৃতিগুলিও আবছা হওয়ার নয়। আর অঞ্জলির শেষে সেই প্রিয় মানুষটিকে শাড়িতে বা পাঞ্জাবিতে দেখা সেই প্রসঙ্গে কথা নাহয় অন্যদিনে হবে। শীতের শেষ, বসন্তের শুভারম্ভ, হালকা কড়া-মিঠে রোদের বহর সাথে দীর্ঘ একবছরের অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে বাগদেবীর আরাধোনার সেই মুহূর্ত এসে কড়া নাড়ছে প্রতিটা বাঙালি ঘরের দোরগোড়ায়। অপেক্ষা মাত্র আর একদিনের। ছোট থেকে বড় সকলেই ব্যাস্ত তোরজোড়ে। কিন্তু অন্যবারের থেকে এবারের চিত্রটা একটু অন্যরকম হতে চলেছে। আজ থেকে প্রায় ১১ মাস আগে মারন ভাইরাসের আগমনে প্রত্যাগমন ঘটেছিল সকলের মুখের হাসির, চোখের জল আর দীর্ঘশ্বাস শেষ কথা হয়ে দাঁড়িয়েছিল, আমরা এই ভাইরাসের সাথে যুদ্ধে হয়তো জয়লাভ করতে পারিনি কিন্তু আমরা নিয়ন্ত্রণে আনতে পেরেছি। এই কোভিড প্রত্যাবিধির জন্য আর অন্য পাঁচটা বছরের তুলনায় ২০২০তে দুর্গাপূজা থেকে শুরুকরে কালীপূজো সবকিছুরই চিত্রটা একটু অন্যরকম ছিল। ঠিক সেই একই ছবি না হলেও স্বাভাবিক ছন্দে ফেরার চিত্র দেখতে পাওয়া যাবে স্বরস্বতী পুজোতে।

বাতাসে পূজার গন্ধ থাকলেও অন্যবারের মতো না হলেও প্রস্তুতি পর্ব চলছে ভালোই। স্কুল ও কলেজগুলি ছাত্রছাত্রী হীন। বলতে গেলে জনশূন্য। পাড়ায় পাড়ায় পুজোর প্রস্তুতি চললেও সেখানেও রয়েছে করোনা নিয়মবিধি। গতবছর স্বরস্বতী পুজোর পরই করোনা পরিস্থিতি, আর ঠিক তারপরই লকডাউন, মহামারীর প্রকোপ, প্রভাব থাকছে , সেই পরিস্থিতিতে হবে পুজো। এবারে কুমোরপাড়ার গল্পটাও অন্যরকম। বেশিরভাগই ছোট ছোট মূর্তিই তৈরি হয়েছে। বড় মূর্তির অর্ডার নেই বললেই চলে। দুর্গাপূজা ও কালীপুজার মতো স্বরস্বতী পুজোর থিমেও অনেক যায়গাতে থাকছে করোনার গল্প।

 
বসন্ত পঞ্চমী মানেই বাঙালীর আবেগ।এই দিনটিকে “বাঙালীর ভ্যালেনটাইনস ডে” বলে ধরা হয়। সেই দিন দেবীর আরাধনাকে ঘিরেও মিশে থাকে পবিত্রতা, স্নিগ্ধতা। পুরানে আছে এইদিনে ব্রহ্মা পুরো বিশ্ব ব্রহ্মাণ্ডের সৃষ্টি করেছিলেন। এই দিনে সবার মধ্যে থাকে এক বাঙালীয়ানার ছোঁয়া। বছরের শুরুতেই প্রত্যেক বাঙালী অপেক্ষায় থাকে এই দিনটিকে কেন্দ্র করে।২০২০ সাল আমাদের কাছ থেকে কেড়ে নিয়েছে অনেক কিছু, অনেকেই হারিয়েছেন তাদের প্রিয়জনদের, সব শেষে যে ঝড় উঠেছিল টা থেমে গেছে, নতুন বছরে দেবীর আরাধনার মধ্যে দিয়ে সকলেরই ভালো কাটুক এই কামনাই রইলো। যদিও পুজো হওয়র আগে কুল খাওয়র রিস্ক টা নেননি তো? এই সর্বনাশ...

{ads}                                      
 

Saraswati Puja Saraswati Puja 2021 Bengali Valentines Day Spring Comes Winter Ending Celebrations Festivals Rituals Trending Entertainment West Bengal

Last Updated :