শোভন চট্টোপাধ্যায়কে জোর করে এসএসকেএমে আটকে রাখা হচ্ছে। আজ, শনিবারের বারবেলায় এমনই অভিযোগ করলেন শোভনের বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়।
গতকাল, শুক্রবার নারদকাণ্ডে ধৃত চার হেভিওয়েটকেই গৃহবন্দি থাকার নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। তার পর ফিরহাদ হাকিম বাড়ি ফিরে গেলেও, শোভন রয়েছেন হাসপাতাল-বন্দি। কেন ছাড়া হচ্ছে না বলে চোখের জলে ভাসালেন বান্ধবী।
{link}
শোভনবাবু সুস্থ হয়ে গিয়েছেন, তিনি বন্ডে সই করে উল্লিখিত অফিশিয়াল অ্যাড্রেস পর্ণশ্রীর বাড়ি নয় গোলপার্কের ফ্ল্যাটেই ফিরতে চান বলে এসএসকেএমে দাঁড়িয়ে বলেছিলেন বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়। যা নিয়ে তীব্র কটাক্ষের সুরে কুণাল ঘোষের সংযোজন, 'শোভনবাবু অসুস্থ বলেই জেলে পাঠানো হয়েছিল। আর এখন হঠাৎ নিজেই বলছেন সুস্থ। উনি সুস্থ কি না সেটা ঠিক করার পাশাপাশি চিকিৎসার ব্যবস্থা দেখবে হাসপাতাল। উনি আইনি প্রক্রিয়ার মধ্যে রয়েছেন। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলে ওঁকে প্রেসিডেন্সি জেলে যেতে হবে। সুপার সেখান থেকে তাঁর অফিশিয়াল অ্যাড্রেসে পাঠাবেন। শোভনবাবু তাঁর মামারবাড়ির বাগানে পায়চারি করছে না। নিয়ম বলছে, রিস্ক বন্ড সই করার জায়গায় তিনি নেই। আর উনি যদি এতই সুস্থ তাহলে হাসপাতালে গেলেনই বা কেন?'
সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে আবার কুণাল ঘোষকে নিশানা করে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের তোপ, বৈশাখী সম্পর্কে মন্তব্যের আগে, তাঁর নখের যোগ্য হোন। সঙ্গে তিনি সুস্থ বলে জানিয়ে শোভন চট্টোপাধ্যায়ের বক্তব্য, 'আমি এখন সুস্থ। ১৭ মে আমার যে অসুবিধা ছিল, তা কেটে গিয়েছে। বন্ডে হলেও, আমি বাড়ি যেতে চাই। আমার সুস্থতাকে অসুস্থতা দেখানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। চক্রান্ত করে আমাকে দমানো যাবে না।'
{link}
তবে কোনও প্রভাবশালীর চাপের কাছে শোভন মাথা নত করবেন না বলেও স্পষ্ট জানিয়ে দেন বৈশাখী। দুই সরকারের নগ্ন ক্ষমতার অপব্যবহার তাঁকে পীড়া দিচ্ছে বলেও জানান বৈশাখী।
{ads}