অবশেষে চওড়া হাসি পর্যটন ব্যবসায়ীদের মুখে। বড়দিন ও বছর শেষের উপলক্ষে পর্যটকদের ঢল নামতে শুরু করেছে ডুয়ার্সে। কোভিড পরিস্থিতিতে প্রায় সাত মাস জঙ্গল বন্ধ থাকার ফলে ডুয়ার্সের আলিপুরদুয়ার জেলার বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্র গুলোও ছিল বন্ধ। পরবর্তীতে আনলক পর্যায়ে জঙ্গল খুলে গেলেও পর্যটন কেন্দ্র গুলোতে পর্যটকদের দেখা মিলছিলনা। এমনকি পুজোর মরশুমে ও তেমন হারে পর্যটক আসেনি। যার ফলে কার্যত চিন্তার রেখা দেখা দিয়েছিল পর্যটন ব্যাবসায়ীদের কপালে। কিন্তু বড়দিনের মরশুমের শুরুতেই সেই চিন্তা সরে গিয়ে খুশির হাওয়া দেখা দিয়েছে তাদের মনে। পর্যটক কেন্দ্র গুলোতে পর্যটকের ঢল নামতে শুরু করেছে গত কয়েকদিন যাবৎ। আগের বছর কিংবা তার আগের বছর যেমন ঢল নেমেছিল এবছরেও পর্যটকের সংখ্যা তার থেকে নেহাত কিছু কম নয় বলে জানা যাচ্ছে পর্যটন ব্যাবসায়ীদের থেকে। পর্যটন ব্যাবসায়ী অভিক গুপ্ত তিনি জানিয়েছেন বড়দিন উপলক্ষে আলিপুরদুয়ার জেলার চিলাপাতা, জয়ন্তী, বক্সা, লেপচাখা সহ বিভিন্ন পর্যটন কেন্দ্রে পর্যটকদের ঢল নেমেছে এবং তাছাড়াও বুকিং ও ভালো হয়েছে। এই বিষয়ে আলিপুরদুয়ার ডিস্ট্রিক্ট টুরিজম আ্যসোসিয়োশনের সম্পাদক মানব বক্সি জানান প্রতিটি পর্যটন কেন্দ্রে বড়দিনের ভালো বুকিং হয়েছে যার ফলে এখন পর্যটন ব্যাবসার সাথে যুক্ত সবাই খুশি।
অন্যদিকে প্রায় একই ছবি বাঁকুড়ার পর্যটন কেন্দ্রেও। দীর্ঘ লকডাউনের পর বাঁকুড়ার অন্যতম পর্যটন কেন্দ্র শুশুনিয়া পাহাড়েও বাড়তে শুরু করেছে পর্যটকদের ভিড়। বাঙালির অন্যতম পরিচিতি হল সে ভ্রমনপিপাসু। প্রায় দীর্ঘ সাতমাসের কাছাকাছি সময় লকডাউনে থাকার ফলে কার্যত গৃহবন্দী হয়ে পরেছিল মানুষ। বাইরে বেরোনর জন্য প্রতিটা প্রান হাঁসফাঁস করছিল। তাই আনলক পর্ব শুরু হওয়ার পরপরেই মানুষ সুযোগ খুঁজছিল। আর শীতের মরশুমে বড়দিন আসতেই একেবারে মক্ষম সুযোগ কাজে লাগিয়ে সবাই একের পর এক ছুটে চলেছে পর্যটন কেন্দ্রগুলির দিকে।
{ads}