শেফিল্ড টাইম্স ডিজিটাল ডেস্ক : মধ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালিয়ে একজনকে পিষে দেওয়ার অপরাধ ক্ষমাহীন অপরাধ। ইচ্ছাকৃত খুন না হলেও একে অনিচ্ছাকৃত খুন বলা হয়। আর সেই অপরাধে এখন জেলবন্দি সিদ্ধান্ত । ৬ এপ্রিল ঠাকুরপুকুরের (Thakurpukur Case) ‘অভিশপ্ত’ কাণ্ডে নয়া মোড়। মদ্যপ অবস্থায় গাড়ি চালিয়ে এক ব্যক্তিকে পিষে দেওয়ার অভিযোগে ইতিমধ্যেই পরিচালক সিদ্ধান্ত দাস ওরফে ভিক্টোরের বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা রুজু হয়েছে।
{link}
বুধবার ফের আলিপুর আদালতে পেশ করা হয় মূল অভিযুক্ত ভিক্টোরকে। সেখানেই তাঁকে পুলিশি হেফাজত থেকে বিচার বিভাগীয় হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেয় আদালত। আগামী ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত জেলেই থাকতে হবে ভিক্টোরকে। ঠাকুরপুকুর কাণ্ডে লালবাজারের গোয়েন্দাদের তদন্তে উঠে এসেছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। ঠাকুরপুকুর কাণ্ডে লালবাজারের গোয়েন্দাদের তদন্তে উঠে এসেছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। গত ৫ এপ্রিল গভীর রাত থেকে পরদিন সকাল পর্যন্ত ‘সাবমেরিনো’র নেশায় ডুবে ছিলেন পরিচালক সিদ্ধান্ত দাস ওরফে ভিক্টোর। আর তারই ফল ঠাকুরপুকুর বাজারে নিয়ন্ত্রণহীন গাড়ির ধাক্কা। এই দুর্ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে এক পথচারীর।
{link}
আহত হয়েছেন আরও প্রায় ছ’জন। জেরায় ধৃত পরিচালক গোয়েন্দাদের জানিয়েছেন, এতটাই মদ্যপান করেছিলেন যে দিন আর রাতের তফাত বুঝতে পারেননি। তদন্তে উঠে এসেছে, দুর্ঘটনা যে দিন ঘটেছে তার আগের রাতে প্রথমে দক্ষিণ কলকাতার একটি মলের পানশালায় মদ্যপান করেছিলেন ভিক্টো ওরফে সিদ্ধান্ত দাস। সেখান থেকে জোকায় অভিনেতা আরিয়ানের বাড়িতে গিয়ে ফের মদ্যপান করেন সদলবলে। রাতে পানশালা থেকে আরও এক সঙ্গী তাঁর গাড়িতে উঠেছিলেন। তবে মদ্যপ ভিক্টোকে বেপরোয়াভাবে গাড়ি চালাতে দেখে নেমে যান তিনি। ঋ ও শ্রিয়াকেও নেমে আসতে বলেছিলেন সেই সঙ্গী। কিন্তু তাঁরা এতটাই নেশায় বুঁদ ছিলেন যে তাঁদেরও কোনও হুঁশ ছিল না। পুলিশ ওই সঙ্গীকেও তলব করতে চলেছে বলে বিশেষ সূত্রে খবর।
{ads}