দেবী লক্ষীর কৃপা লাভ করতে কে না চান? সেই কারনেই তো ঘরে ঘরে কোজাগরী পূর্নিমায় পূজিতা হন দেবী। কিন্তু সেই পূজার পর দেবী লক্ষীর আশির্বাদ কি সবাই পান? লক্ষীলাভ আদৌ হয় কি? সত্যি কথায় কিন্তু ‘না’, তবে কেন? কি ত্রুটি থেকে যায় দেবীর পূজায়?
{link}
বুধবার বাংলার ঘরে ঘরে পালিত হবে লক্ষ্মীপুজো। অনেকেই না জেনে অনেক কিছু করে ফেলেন। যার জেরে লক্ষ্মী হন অসন্তুষ্ট। ফলে সম্পদের অধিষ্ঠাত্রীর দেবীর পুজো করেও দুর্ভাগ্যের নিকষ কালো মেঘ কাটে না। শাস্ত্রবিদদের মতে, এর কারণ লক্ষ্মীপুজো হয় না নিয়ম মেনে। তাই ঘোঁচে না দুর্ভাগ্যও। জেনে নিন, লক্ষ্মীপুজো ঠিক কী কী করবেন না।
লক্ষ্মী স্বয়ং বিষ্ণুপত্নী। বিষ্ণু যেমন পালন করেন ত্রিভুবন, তেমনি ত্রিভুবনকে অন্ন জুগিয়ে চলেন লক্ষ্মী। তিনি ধন-সম্পদের অধিষ্ঠাত্রী দেবী। তাই মানুষ তাঁর পুজো করেন মূলত প্রচুর ধন-সম্পদ কামনায়। তবে কষ্ট করে পুজো করলেও অনেকেরই ঘরে আসেন না ‘লক্ষ্মী’। কারণ না জেনেই অনেকে তাঁর পুজোয় করেন বিস্তর ভুলচুক। তাই অসন্তুষ্ট হন দেবী। ঘোঁচে না আঁধার।
{link}
লক্ষ্মীপুজোয় অনেকেই তুলসী পাতা ব্যবহার করেন। মনে রাখবেন, লক্ষ্মীর মতোই তুলসীকেও ভালোবাসেন নারায়ণ। তাই লক্ষ্মীর সঙ্গে তুলসীর বিবাদ। সেই কারণে লক্ষ্মী পুজোয় তুলসী দিতে নেই। লক্ষ্মীকে সাদা ফুল দিতে নেই। সাদা ফুল বিষ্ণুর প্রিয় হলেও, বিষ্ণু-প্রিয়ার নয়। তাই লক্ষ্মীপুজোয় ব্যবহার করুন লাল ফুল। লক্ষ্মীপুজোর সময় ঢাক-ঢোল-কাঁসর-ঘণ্টা বাজাবেন না। শাঁখের মিষ্টি আওয়াজই মা লক্ষ্মীর পছন্দ। কোজাগরি লক্ষ্মীপুজো শেষে পরিবারের সবাই মিলে মাকে ডাকুন সারারাত ধরে। এ রাতে ঘুমোতে নেই। দরজা রাখুন হাট করে খোলা। কারণ জননী আসবেন দ্বারে। চেয়ে নেবেন, কেবল দেবীর আশীর্বাদ। তাহলেই সব প্রয়োজনই পূরণ হবে। দেবী লক্ষীর আশির্বাদ এসে পড়বে আপনার ও আপনার পরিবারের মাথায়।
{ads}