আর্থিক সংকটে পড়েছেন? সঞ্চয়ের ঘর শূন্য? চারদিকে দেনা? বাড়িতে রাখুন রুপোর ময়ূর। বাস্তুশাস্ত্র মতে, দাম্পত্য সমস্যা মেটাতেও জোড়া ময়ূর রাখুন ঘরে। সাধনায় সিদ্ধিলাভ করতে হবে ঠাকুর ঘরেও রাখুন রূপোর ময়ূর। বর্তমান সময়ে সকলেরই এই চলতে থাকা মহামারীর কারনে সময় খারাপ যাচ্ছে। প্রায় সকলকেই মুখোমুখি হতে হচ্ছে নানান সমস্যার, সাথে জীবনে মিলছেনা সুখও। এই সমস্য সমস্যারই এক চমকপ্রদ সমাধান রয়েছে।
হিন্দু ধর্মে সোনা-রূপোর কদরই আলাদা। তবে সোনার চেয়ে কোনও কোনও ক্ষেত্রে রূপো বেশি ফলপ্রদ বলে বাস্তুশাস্ত্র বিশারদদের বিশ্বাস। আবার ময়ূর হিন্দুদের অনেক দেবতারই বাহন। কার্তিকের বাহন তো বটেই, বৌদ্ধ সরস্বতীর বাহনও ময়ূর। দক্ষিণ ভারতের কোথাও কোথাও লক্ষ্মীর বাহন হিসেবে মূয়র দেখা যায় বলে শোনা যায়। তাই ময়ূর পরিবারের পক্ষে শুভফল দায়ক।
সিদ্ধিলাভের দেবতা গণেশ কিংবা হনুমানজির পুজো করে সংকট থেকে উদ্ধার পান অনেকেই। তবে বাড়িতে ঠাকুর রাখার বিপদও আছে। নিত্যপুজো এবং ভোগরাগ না হলে দেবতা ক্রুদ্ধ হন। সেজন্য সংকট মোচনে বাস্তুশাস্ত্র বিশারদরা বাড়িতে রূপোর ময়ূর রাখার পরামর্শ দেন।
{link}
যাঁরা আর্থিক সংকটে পড়ছেন, দিনভর পরিশ্রম করেও সুখের মুখ দেখতে পান না, আজীবন হাড়ভাঙা খাটাখাটনি করেও জমার খাতা শূন্যই পড়ে থাকে, তাঁদের বাড়িতে রূপোর ময়ূর রাখার নিদান দেন বাস্তুশাস্ত্রকাররা। তবে এই ময়ূর হতে হবে নৃত্যরত। দাঁড়ানো ময়ূর সংসারের আর্থিক হাল ফেরাতে পারে না।
তবে আধ্যাত্মিক অবস্থার উন্নতি হতে পারে ঠাকুর ঘরে একটি রূপোর ময়ূর রাখলে। এই ময়ূর আবার নৃত্যরত হবে না। পেখম তুলে দাঁড়িয়ে থাকা ময়ূর। বাস্তুশাস্ত্র বিদদের মতে, ঠাকুরঘরে এই মূর্তি রাখলে পুজোর ফল হয় দ্বিগুণ।
দাম্পত্য সম্পর্কে খুশির জোয়ার আনতেও শোবার ঘরে রাখুন রূপোর ময়ূর। তবে এক্ষেত্রে একটি ময়ূর রাখলে হবে না। রাখতে হবে রূপোর ময়ূর-ময়ূরী। জোড়া এই ময়ূর রাখলে দাম্পত্য জীবনে আসবে ভালোবাসার জোয়ার।
তাহলে… আর ভাবনা কেন, সমস্যা কাটিয়ে জীবনে সুখ আনতে আজই নির্দেশমতো কিনে ফেলুন ময়ূর।
{ads}