২০০১, থেকে ২০১৬ পূর্বের বিধানসভা নির্বাচনের পদ্মের চিত্র আর ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে পদ্মে.র চিত্র পর্যবেক্ষন করলে কার্যত আকাশ পাতাল পার্থক্যের চিত্রই চোখে পড়বে। এক-কথায় শেষ চারটি বিধানসভা নির্বাচনে এইবারের মতো এতোটা সঙ্ঘবদ্ধ দেখা যায়নি গেরিয়া শিবিরকে। কার্যত বিগত দিনের বিধানসভা নির্বাচনে সব কটি আসনে প্রার্থী দিতেই সেই সময়ে হিমশিম খেতে হয়েছিল তাদের। কিন্তু ২০২১-এ এক আসনে একাধিক নাম, নির্বাচনের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করতে গিয়ে প্রকাশ্যে না বললেও কার্যত কালঘাম ছুটে গিয়েছে বিজেপি শীর্ষ নেতৃত্বদের বলেই মনে করছেন রাজনীতিবিদদের একাংশ। কিন্তু এই উত্থান এর সূত্রপাত কোথা থেকে?
২০১৯-এর শেষ লোকসভা নির্বাচন, এই নির্বাচনেই একদম এক অন্য রূপে রাজ্যের এক অন্যতম শক্তিশালি রাজনৈতিক শক্তি হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে বিজেপি। লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি ১৮টি সিট জয়লাভ করে নেয়। যায় প্রায় ঘাড়ে নিশ্বাস ফেলেছিল তৃণমূলের। ১৯-এর লোকসভা নির্বাচনেই স্লোগান তুলেছিল বিজেপি, “উনিশে হাফ, একুশে সাফ”। সেই দিক থেকেই নিজেদের দেওয়া স্লোগান স্বার্থক করার লক্ষ্যেই পুরোদমে ঝাঁপিয়েছে গেরুয়া শিবির। প্রথমে শুভেন্দু অধিকারী, তারপর একের পর এক স্থানীয় খেলোয়াড়কে নিজেদের দলে নিয়ে অন্যতম শক্তিশালী দল তৈরি করে ফেলেছে পদ্মফুল। কৈলাস বিজয়বর্গীয়, অমিত শাহ ও নরেন্দ্র মোদীর বারংবার বঙ্গের মাটিতে আগমনে বিপুল মনোবল বাড়ছে দলীয় কর্মীদের। জনসভাগুলিতে বিপুল জনগনের উপস্থিতিও প্রমান দিচ্ছে রাজ্যে বিজেপির সাংগঠনিক শক্তির।
উনিশের লোকসভা নির্বাচনের সময় বিজেপির “উনিশে হাফ, একুশে সাফ” স্লোগানকে হয়ত অতোটা গুরুত্ব দেয়নি রাজ্যের বিরোধী পক্ষের শিবির ও শাসক শিবির। কিন্তু এখন কার্যত তাদের এই স্লোগানকে সাফল্যমন্ডিত করে তুলতে না পারলেও তাদের যে তা করে দেখানোর ক্ষমতা আছে তা বাংলার মাটিতে তা পরিস্কার করে দিয়েছে বিজেপি। এখন একুশের বিধানসভা ভোটের ফলাফলে তা স্বার্থক হয়ে ওঠে কি না, তাই দেখার।
{ads}