শেফিল্ড টাইম্স ডিজিটাল ডেস্ক : কলকাতায় (Kolkata) এখন প্রতিযোগিতা করে বহুতল হয় ভেঙে পড়ছে অথবা হেলে যাচ্ছে। এর প্রধান কারণ কোনো নিয়ম না মেনে নির্মাণ কাজ করা। প্রশ্ন, বেআইনিভাবে নির্মাণ কাজ হয়ে গেলো অথচ স্থানীয় জন-প্রতিনিধি বা কর্পোরেশন কিছুই জানতে পারলো না? নাকি এর মধ্যে অন্য কোনো আর্থিক খেলা হয়েছে? বাঘাযতীনের (Baghajatin) পর ফের ট্যাংরায় (Tangra) বহুতল হেলে যাওয়ার ঘটনায় অস্বস্তিতে কলকাতা পুর প্রশাসন ৷ খোদ কলকাতায় একের পর এক বহুতল হেলে পড়ার ঘটনায় বামফ্রন্টের প্রাক্তন ও বর্তমান কাউন্সিলরদের বিক্ষোভ উত্তপ্ত কলকাতা কর্পোরেশন (Calcutta Corporation)।
{link}
বাঘাযতীনের পর বুধবার সকালে ট্যাংরায় একটি বহুতল হেলে পড়ে ৷ এর জেরে আতঙ্কে স্থানীয় বাসিন্দারা। কলকাতা পুরনিগমের ৫৮ নম্বর ওয়ার্ডে ট্যাংরা এলাকার ক্রিস্টোফার রোডের নির্মীয়মাণ বহুতলটি পাশের একটি বাড়ির উপর হেলে পড়ে। বাড়িটি নির্মীয়মাণ হওয়ায় সেখানে কেউ বসবাস করতেন না।বুধবার বাম প্রতিনিধিদের প্রতিবাদে উত্তাল হয়ে ওঠে পৌরসভা। শহরের বুকে একের পর এক বহুতল হেলে পড়ার ঘটনায় বর্তমান ও প্রাক্তন বাম কাউন্সিলররা বুধবার প্ল্যাকার্ড ঝুলিয়ে বিক্ষোভ দেখান কলকাতা পুরনিগমে। স্লোগান মুখর বিক্ষোভ মিছিল যায় মেয়রের ঘরের সামনে। বেশ কিছুক্ষণ সেখান তাঁরা বিক্ষোভ দেখান। এরপর সকলেই মেয়রের ঘরে ঢোকেন।
{link}
দীর্ঘক্ষণ আলোচনার পর মেয়র ফিরহাদ হাকিমকে (Firhad Hakim) ডেপুটেশন দেন বাম কাউন্সিলররা ৷ যাতে দাবি করা হয়, কলকাতায় ৫০০ বেশি বেআইনি বাড়ি রয়েছে ৷ মেয়রের সঙ্গে দেখা করে রূপা বাগচী বলেন, "৫০০ বেশি কলকাতায় বেআইনি বাড়ি রয়েছে ৷ ২৫০টি বাড়িতে গিয়ে বিল্ডিং বিভাগ পরিদর্শন করেছে ৷ বাকি কিছুই করেনি। বেআইনি নির্মাণ এই আমলে উৎসবের চেহারা নিয়েছে ৷ কাউন্সিলর, পুলিশ থেকে প্রশাসন সব দুষ্টচক্র এর পিছনে কাজ করছে। দুর্নীতি ছাড়া কিছু নেই।"
{ads}