শেফিল্ড টাইমস ডিজিটাল ডেস্ক: বিস্তর ঘটনার ঘনঘটার পরে অবশেষে প্রাইমারি শিক্ষকদের পক্ষেই রায় দিলেন ডিভিশন বেঞ্চ। এদিনের রায়ে প্রাক্তন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের চাকরি বাতিল সংক্রান্ত নির্দেশকে খারিজ করল কলকাতা হাইকোর্ট। তবে দুর্নীতি মামলার তদন্ত চলবে বলে জানানো হয়েছে। ২০১৪ সালে প্রাথমিক নিয়োগের পরীক্ষা টেট-এ উত্তীর্ণ হয়ে ২০১৬ সালে নিয়োগ পান ৪২,৯৪৯ জন চাকরিপ্রার্থী। কিন্তু, পরে অভিযোগ ওঠে চাকরিপ্রাপ্ত ৪২ হাজার ৯৪৯ জন শিক্ষকের মধ্যে ৩২ হাজার শিক্ষকের নিয়োগ হয়েছে নিয়ম না মেনেই। এমনকি এই শিক্ষকেরা ‘অপ্রশিক্ষিত’ বলেও দাবি ওঠে। অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা দায়ের হলে ২০২৩ সালের ১২ মে কলকাতা হাইকোর্টের তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের একক বেঞ্চ ৩২ হাজার শিক্ষকেরই চাকরি বাতিলের নির্দেশ দেন। তিন মাসের মধ্যে নতুন প্যানেল করে নিয়োগের নির্দেশও শোনান তিনি।
{link}
তবে এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ ও কর্মরত শিক্ষকরা। তৎকালীন বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও বিচারপতি সুপ্রতিম ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চের তরফে একক বেঞ্চের চাকরি বাতিলের রায়ের উপর অন্তর্বতী স্থগিতাদেশ দেওয়া হলেও, নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া পর্ষদকে শুরু করতে হবে এই নির্দেশ বহাল রেখেছিল। কলকাতা হাইকোর্টের এই রায়কেও চ্যালেঞ্জ করে আবার মামলা গড়ায় সুপ্রিম কোর্টে। সেখান থেকে ঘুরে ফের মামলা আসে কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চেই। অবশেষে গত ২৮ এপ্রিল থেকে বিচারপতি তপোব্রত চক্রবর্তী ও বিচারপতি ঋতব্রতকুমার মিত্রের ডিভিশন বেঞ্চে মামলাটির বিস্তারিত শুনানি শুরু হয়। গত ১২ নভেম্বর শেষ হয় শুনানি। এরপর আজ, ৩ ডিসেম্বর মামলার রায়দান করল আদালত।
{ads}