শেফিল্ড টাইমস ডিজিটাল ডেস্ক: না, পুলিশ যথেষ্ট তৎপর থাকলেও ভিড় সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ করতে পারলো না। সন্ধ্যার পর থেকেই ভিড় বাড়া শুরু হয়। এক সময় তা জনপ্লাবনে পরিনত হয়। একটা সময়ে মাত্রাতিরিক্ত ভিড়ে ঠেলাঠেলি-হমড়ি খেয়ে পড়ার মতো অবস্থা হয়। তবে বরাতজোরে এড়ানো গিয়েছে পদপিষ্ট পরিস্থিতি। চরম বিশৃঙ্খলারও সৃষ্টি হয়। পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন থাকলেও ভিড় সামাল দিতে যেন হিমশিন খাচ্ছিলেন তারা। এমনকী রাস্তায় থাকা স্টলের বই মাড়িয়েও চলে যেতে দেখা যায় জনতাকে। সেই ভিডিও ভাইরাল হয়েছে নেটপাড়ায়। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার পর থেকে পার্কস্ট্রিটের একাধিক ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে। কোথাও দেখা গিয়েছে ঠেলাঠেলি তো কোথাও আবার রেস্তোরাঁর বাইরে লম্বা, শেষ দেখা না যাওয়া লাইনের। তবে একটি ভিডিও ঘিরে তুমুল সমালোচনা শুরু হয়েছে নেটপাড়ায়। যেখানে দেখা যাচ্ছে, পার্কস্ট্রিটের ফুটপাথে বইয়ের ডালি সাজিয়ে বসেছেন দোকানি। আর সেই বইয়ের উপর পা দিয়ে মাড়িয়েই এগিয়ে চলেছে জনতা।
{link}
ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিওতে কাউকে বলতে শোনা যায়, 'বইয়ের প্রতি মানুষের সমস্ত সম্মান আজ ধুলিস্যাৎ।' আবার কেউ বলেন, 'এতবার পার্কস্ট্রিটে এসেছি, এমন অবস্থা কখনও দেখিনি।' বই দোকানি পদপিষ্ট হয়ে যাবেন বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করা হয় ওই ভিডিওতে। পার্কস্ট্রিটে ভিড় সামাল দেওয়ার জন্য প্রতি বছরই রাস্তার দু'ধারে পুলিশের ব্যারিকেড করা থাকে। মাঝ রাস্তা দিয়ে গাড়ি চলাচল বন্ধ থাকে। সাধারণ মানুষকেও রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে দেওয়া হয় না। ব্যারিকেড ঘেরা ফুটপাথের উপর দিয়েই পার্কস্ট্রিট মোড় থেকে অ্যালেন পার্কের দিকে হেঁটে যায় জনতা। এবারও তেমনই বন্দোবস্ত ছিল লালবাজারের। এমনকী, সন্ধ্যায় খোদ কলকাতা পুলিশ কমিশনার মনোজ ভার্মা পরিদর্শন করেন পার্কস্ট্রিট। সমস্ত বন্দোবস্ত সত্ত্বেও কোনও কোনও সময়ে পার্কস্ট্রিটে ধরা পড়েছে বিশৃঙ্খল অবস্থার। অতিরিক্ত ভিড়ে কোথাও ঠেলাঠেলি, কোথাও হুমড়ি খেয়ে পড়ে যাওয়া কিংবা ভিড়ের চাপে পদপিষ্ট হওয়ার মতোও পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল।
{ads}