শেফিল্ড টাইম্স ডিজিটাল ডেস্ক : তিলোত্তমার বাবা প্রথমে সকলের মতো অপরাধী সঞ্জয়ের মৃত্যুদন্ড চেয়ে ছিলেন। আবার আদালতের রায়ের পড়ে জুনিয়র ডাক্তার (junior doctor) ও নাগরিক মহলের মতো তিনিও মনে করছেন, অন্যান্য অপরাধীদের গ্রেফতার করার আগে সঞ্জয়কে ফাঁসি দিলে অন্যান্য অপরাধীদের আর ধরা যাবে না। তাই তিনি এই মুহূর্তে সঞ্জয়য়ের ফাঁসির বিরুদ্ধে আদালতে আর্জি জানিয়েছেন। সত্যিই কী এখানে কোনো অপরাধ আছে?
{link}
কিন্তু শাসক দলের নেতা মন্ত্রীরা লাইন দিয়ে এবার আক্রমন শনিয়ে যাচ্ছেন তিলোত্তমার বাবাকে। কোমর বেঁধে একযোগে আক্রমণের ময়দানে নেমেছেন কুণাল ঘোষ, ফিরহাদ হাকিম, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়রা। আর এবার তাঁদের ‘দলেই’ নাম লেখালেন কামারহাটির তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র (Madan Mitra)। তিলোত্তমার মা-বাবার ক্ষতিপূরণ লাগবে? প্রশ্ন মদনের। যদি ক্ষতিপূরণের টাকা প্রয়োজন তাহলে মানুষ-সরকার দেবে। আর মদনের এই বক্তব্যের পরই নিন্দার ঝড় সব মহলে। একটা প্রশ্ন মদন মিত্রকে করেছেন তিলোত্তমার বাবা। তিনি বলেছেন, তাঁর পরিবারে যদি এই ঘটনা ঘটতো তাহলে মদন মিত্র কী ক্ষতিপূরণ নিতেন?
{link}
মদন মিত্র বলেন, তিলোত্তমার জন্য তিনি সহানুভূতিশীল। তার জন্য তিনি মোমবাতি মিছিল করেছেন। তারপরেই তিনি বলেন, "ওরা রাতারাতি প্রতিদিন কথা বদলে যাচ্ছে। বিজেপি-সিপিএম-এর মতো কথা ওদের মুখে তোতাপাখির বুলি। তাহলে কি ক্ষতিপূরণ চান? সেটা মুখে বলুন। একটা বাচ্চা মেয়ের ষোলো কোটি টাকা লাগবে ইঞ্জেকশনের। ইতিমধ্যে সাত কোটি উঠেছে। একশো চল্লিশ কোটি দেশের লোক আছেন তাঁরা দেবেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়-নরেন্দ্র মোদী দেবেন। আপনারা পরিষ্কার করে যদি না বলেন কী চান হবে কী ভাবে?” এর পড়ে নাগরিক মহল স্বাভাবিক ভাবেই মনে করেই, মদন মিত্র সমস্ত সীমা লঙ্ঘন করেছেন।
{ads}