শেফিল্ড টাইম্স ডিজিটাল ডেস্ক : সঞ্জয় রাই এমন কোনো মহাপুরুষ নয় যে তিনি যা বলবেন তাই সত্য। মানুষ কি তাকে বিশ্বাস করে? তাহলে সঞ্জয় রাইয়ের কথা বাইরে আসলে রাজ্য সরকারের কি এমন সমস্যা হবে যে সঞ্জয় রাইয়ের কথা বন্ধ করাতে হবে? এই ঘটনায় সকলের মনে পরে যাচ্ছে, সারদা কাণ্ডে গ্রেফতার হওয়া কুনাল ঘুষের কথা। তার তখন বিচার চলছে। আর আদালতের বাইরে এসেই তিনি চিৎকার করে বলতেন, সারদা কান্ড থেকে সবচেয়ে বেশি সুবিধা পেয়েছে মমতা ব্যানার্জী।
{link}
আর এই কথা নিয়ে তখন তোলপাড় হয়েছিল বাংলা। ফলে পরে আদালতের বাইরে কুনালের কথা যাতে কোনো সাংবাদিক শুনতে না পারেন, তাই পুলিশ জোরে জোরে গাড়ি চাপড়াতো। আর এবার সঞ্জয়ের সঙ্গে প্রায় তাই করা হচ্ছে।এর আগে সাংবাদিকদের দেখে সঞ্জয় চিৎকার করে বলেছিল, তাকে ফাঁসানো হয়েছে। তিনি কোনও দোষ করেননি। কলকাতা পুলিশের তরফ থেকে তাকে চুপ করে থাকতে বলা হয়েছিল। এই দাবি জোর গলায় করেছিলেন ধৃত সঞ্জয় রায়। শুধু তাই নয়, তার মুখে শোনা যায় কলকাতার প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার বিনীত গোয়েলের নাম। তারপর থেকেই কলকাতা পুলিশ আরও আঁটোসাটো ব্যবস্থা করে আদালত চত্বরে৷ সঞ্জয় রায়কে নিয়ে যাওয়া আসার পথে কোনও সাংবাদিক যাতে প্রিজন ভ্যানের সামনে আসতে না পারে, সেই ব্যবস্থা করা হয়। সঞ্জয় রায় যাতে কোনও কথা বলতে না পারে, সেদিকে নজর দেওয়া হচ্ছিল।
{link}
সোমবার শিয়ালদহ কোর্টে সঞ্জয়কে নিয়ে আসা হয়। গাড়ি থেকে নামানোর সময় সজোরে হর্ন বাজানো হতে থাকে। এছাড়াও গাড়িতেও চাপড় মারা হয় সশব্দে। এই শব্দের মধ্যেই দ্রুত আদালতের ভিতরে সঞ্জয়কে ঢুকিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। মানুষ বলছে, সরকার ও পুলিশ কি সঞ্জয় রাইকেও ভয় পেয়েছে!
{ads}