প্রায় এক বছর হতে চলেছে অতিমারীর প্রকোপ গোটা পৃথিবীকে স্তব্ধ করে দিয়েছে। এক মুহূর্তের মধ্যেই পাল্টে গিয়েছিল মানুষের জীবন যাপনের ধরণ। পৃথিবীর প্রায় প্রতিটি প্রান্তেই সংক্রমণ দ্রুত গতিতে নিজের বংশ বিস্তার করছে। সতর্কতা মেনে দিন কাটানো নিত্যদিন জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কিন্তু এরই মাঝে কলকাতার রাস্তায় চোখে পড়ছে অন্য এক বেপরোয়া মনোভাবের চিত্র। কলকাতার বাজারগুলোতে লক্ষ্য করা যাচ্ছে মাস্কবিহীন বিক্রেতা এবং ক্রেতার ভিড়। বিশেষভাবে নজর কেড়েছে উত্তর কলকাতার মানিকতলা বাজার। {ads}
স্বাস্থ্য দপ্তর থেকে বারংবার মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক করে দেওয়া হলেও প্রতিনিয়ত এই নিয়মের বিরুদ্ধাচরণ লক্ষ্য করা যাচ্ছে বাজারে উপস্থিত বেশিরভাগ মানুষের মধ্যে। বাজারের মাছ, মাংস কিংবা সবজি বিক্রেতা মাস্ক ছাড়া ব্যবসা করছেন এবং তাদের এই ব্যবহারে প্রশ্ন তুললে তারা অস্বস্তির অজুহাত দিয়ে পরিস্থিতির সামাল দিতে চাইছেন। প্রশাসনের তরফ থেকে প্রত্যেহ নজরদারি চালানোর সময় মুহূর্তের মধ্যে রুমাল দিয়ে মুখ ডাকছেন অথবা তৎক্ষণাৎ মাস্ক পড়ছেন। এমনকি প্রকাশ্যে থুতু ফেলাও চোখে পড়ছে বেশ ভালো ভাবেই।
ইতিমধ্যেই দিল্লীর মতো মারাত্মক সংক্রমিত রাজ্যে মাস্ক ব্যবহার না করার দরুণ ২০০০ টাকা পর্যন্ত জরিমানা দাবি করা হচ্ছে প্রশাসনের তরফ থেকে। ফলত, চারিপাশের বর্তমান পরিস্থিতির দিকে চেয়ে বেপরোয়া কার্যক্রমের শাস্তি হিসেবে ফাইন নেওয়ার পদ্ধতিও অবলম্বন করা হতে পারে বলে জানিয়েছে প্রশাসনিক বিভাগ। তবে, সচেতনতা কি শুধু জরিমানা এবং শাস্তি থেকে আসা সম্ভব? প্রশ্ন কিন্তু একটা থেকেই যাচ্ছে। {ads}