ইতিমধ্যে ওই ছাত্রীর এক বিশেষ বন্ধুর একটি ফেসবুক পোষ্ট ঘিরে কিছুটা চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে ঝিলপাড় থেকে উদ্ধার হয় ইংরেজি ডিপার্টমেন্টের (English Department) তৃতীয় বর্ষের ছাত্রীর দেহ। ছাত্রীটিকে অচৈতন্য অবস্থায় উদ্ধার করা হয় ক্যাম্পাসেরই ঝিলপাড় থেকে। তদন্তে মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে উঠে আসছে একাধিক তথ্য। একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন ছাত্রী। নেশা করেও ভারসাম্য রাখতে না পেরে জলে পড়ে গিয়েছিলেন মৃতা, এ সম্ভানার কথাও জানা গিয়েছে।
{link}
ঠিক কীভাবে ছাত্রীর মৃত্যু হয়েছে তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে প্রাথমিক তদন্তে উঠে বেশ কিছু বিস্ফোরক তথ্য। ছাত্রীর বন্ধুবান্ধবদের সঙ্গে কথা বলছে পুলিশ। ছাত্রীর বন্ধুরা জানিয়েছেন, ছাত্রী ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যা করার চেষ্টা করেছিলেন পুকুরে ঝাঁপ দিয়ে। বন্ধুদের আরেকটা অংশ বলছে ছাত্রী আজ অত্যাধিক নেশা করেছিলেন। ভারসাম্য হারিয়ে পুকুরে পড়ে যান তিনি। প্রাথমিক ভাবে পুলিশ জানতে পেরেছে জলে পড়ে গিয়েছিলেন ওই ছাত্রী। সহপাঠীরা তুলেছিল তাকে। শরীরের বাইরে কোনো আঘাতের চিহ্ন নেই। পরনের পোশাকেও কোনও পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়নি।
{link}
ঘটনাস্থলের আশপাশের ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ড্রামা ক্লাবের অনুষ্ঠান চলছিল পাশেই । তারই মধ্যে এই ঘটনা। প্রসঙ্গত, ‘রুহানিয়াত’ নামে একটি ফেস্ট ছিল কলেজে। সেই সময় কয়েকজন ঝিল পাড়ে বসে নেশা করছিল বলে জানা গিয়েছে। সেখানে মৃতা ছাত্রীও ছিল ছাত্রছাত্রীদের একাংশ জানিয়েছেন। সব মিলিয়ে রহস্য যথেষ্ট ঘনীভূত হয়ে উঠেছে বলেই মনে করা হচ্ছে।
{ads}