দেবী আগমনের আর মাত্র একটি সপ্তাহ বাকি , তাঁর আগেই প্রশাসনিক দায়িত্ব ও কর্তব্যর ন্যায় প্রায় ২০টি পুজা মণ্ডপ প্রদর্শন করলেন লালবাজারের জয়েন্ট সিপি হেডকোয়ার্টার্স শুভঙ্কর সিনহা সরকার ।রাজ্য সরকারের সমস্ত নিয়মাবিধি মানতেই হবে পুজা মণ্ডপ গুলিকে । করোনা সংক্রামণ থেকে রক্ষার তাগিদে এবং পুজা উপভোগ যথাযথ ভাবে পালনে দর্শনার্থীদের কথা ভেবে এই নিয়মাবিধি তৈরি করা হয়েছে । লালবাজারের অন্যান্ন আধিকারিকরাও ছিলেন তাঁরাও মণ্ডপ প্রদক্ষিণ করেছেন ।প্রথমেই তিনি যান কুমারটুলি সার্বজনীন দুর্গোৎসব পূজামণ্ডপে। সেখানে গিয়ে পুজো মণ্ডপ ভালো করে খতিয়ে দেখেন এবং কর্মকর্তাদের সঙ্গেও কথা বলেন এবং দেখার পর তিনি সাংবাদিকদের জানান কুমারটুলি সার্বজনীন দুর্গোৎসব কমিটি তারা সরকারি সমস্ত নিয়মকানুন মেনে পুজা মন্ডপ করেছে এবং সবদিক খোলা রাখা হয়েছে। তারপর যান মহম্মদ আলি পার্ক ও কলেজ স্কোয়ার।উভয় জায়গাই খুব খতিয়ে দেখেন এবং সুরক্ষা কবচ খুব যত্ন সহকারে নজর রাখেন।
মহম্মদ আলি পার্ক ও কলেজ স্কোয়ার মধ্য কলকাতার দুটি বৃহৎ পুজা , প্রত্যেক বছর দূর দুরান্ত থেকে লাখে লাখে মানুষ আসেন এই দুটি পুজার জন্য।তাই এইখানে করোনা সংক্রমনের প্রভাব বৃদ্ধি হতে পারে এই আশঙ্কা আধিকারিকরা করছেন ।পুজোমণ্ডপে প্রবেশ এবং বাহির পথ ভালো করে পরিদর্শন করেন।তারপর নিজেদের মধ্যে আলাপ আলোচনা করেন যে এই মন্ডপের প্রত্যেকটি পথ অনেক বড় করতে হবে, যাতে দর্শনার্থীদের প্রবেশ করতে এবং প্রস্থান করতে কোন রকম অসুবিধা না হয় ।
পুজা কমিটিদের যেমন দায়িত্ব সাধারন মানুষের জন্য সচেতনতা বৃদ্ধি করা তেমনি সাধারন মানুষের ও সমান দায়িত্ব নিয়মকানুন পালন করা।আধিকারিকরা সাধারন মানুষের উদ্দেশে জানান তারা যেন মাস্ক পড়ে পুজোমণ্ডপে আসেন এবং নিজেদের মধ্যে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখেন। কোনভাবে একসঙ্গে ভিড় করা চলবে না, ভিড় হলে পুজো মণ্ডপ থেকে যেন সঙ্গে সঙ্গে সেই স্থান খালি করে দেওয়া হয়।